জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এর উপ–সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি খোকনের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি নিজ নামে ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮১ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। যাচাই করলে দেখা যায়, তার নামে ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ১৯১ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। সেই হিসেবে তিনি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, খোকনের নীট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৮ টাকা। বিভিন্ন উৎস থেকে তিনি আয় করেছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪১২ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছেন ২৮ লাখ ৯ হাজার ২৩৭ টাকা। এ ব্যয় বাদ দিলে তার আয় দাঁড়ায় ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৫ টাকা। এ ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৫ টাকা–ই হচ্ছে তার বৈধ আয়। ফলে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে বৈধ আয়ের উৎস ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৩ টাকা কম পাওয়া গেছে। অর্থাৎ খোকন ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে অপরাধ করেছেন। এজাহারে আরো বলা হয়, খোকন গত ৫ বছরে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকারও বেশি স্থাবর সম্পদ অর্জন করেন, যা তার ঘোষিত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ মামলা দায়েরের বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেন।