বারিক বিল্ডিং-বিমানবন্দর সড়কের নাম হবে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’

জিইসিতে সংরক্ষণ করা হবে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্ত্বর

মোরশেদ তালুকদার | রবিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের নাম হবে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’। একইসঙ্গে নগরীর জিইসি মোড়ে দৈনিক আজাদী’র প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্ত্বর সংরক্ষণ করা হবে। সেখানে অধ্যাপক খালেদের কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত তথ্যসহ নামফলক স্থাপন করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

আজ রবিবার(৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত চসিক-এর সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর নামে সড়কের নামকরণের প্রস্তাব করেন। তাতে সম্মতি দেন কাউন্সিলরগণ।

“চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ম্যাচিং ফান্ড ছাড়াই চলতি মাসে চসিক-এর আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন”। তাই কৃতজ্ঞতা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে সড়কের প্রস্তাব করেন মেয়র।

সভায় মেয়র নগরীর কীর্তিমানদের স্মৃতি সংরক্ষণের ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ও দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী চত্ত্বর সংরক্ষণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাকারী এম এ হান্নান-এর কবরের পাশে তাঁর কীর্তি সম্বলিত নামফলক স্থাপনের ঘোষণা দেন মেয়র।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ৬ জুলাই নগরীর জিইসি মোড়ে দৈনিক আজাদী’র প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্ত্বরের উদ্বোধন করেন তৎকালীন সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। তখন সেখানে একটি নামফলক দেয়া হয়।

নামফলকটিতে লেখা ছিল, “বিবেকের বাতিঘর, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য, সাবেক এমপি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার গভর্নর, দৈনিক আজাদী’র কিংবদন্তি সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মরণে”।

ওই চত্ত্বরকে ঘিরে সৌন্দর্যবর্ধনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয় চসিক। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বিজ্ঞাপনের সাইনবোর্ড বসায়। এছাড়া অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের নামফলকটি সরিয়ে ফেলে। বিষয়টি দৃষ্টিতে এলে সিটি মেয়র এ চত্ত্বর সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত দেন।

এদিকে, সাধারণ সভায় পৌরকর ইস্যুতেও নানা বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র। তিনি বলেন, “গৃহকর নিয়ে নানাধরনের বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছে।”

বিভ্রান্তিতে কর্ণপাত না করে জনগণকে তার(মেয়র) প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “গৃহকর বৃদ্ধি করা হবে না। শুধু করের আওতা বাড়ানো হবে। আপিলের মাধ্যমে গৃহকর সহনীয় করা হবে।” অবশ্য এর আগে কোন পদ্ধতিতে গৃহকর সহনীয় রাখা হবে সেটা জানতে চান তিনজন কাউন্সিলর।

সভায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থেকে ‘আদর্শ কর তপশীল’র আওতায় কাস্টমসের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিচালনা’ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি চসিকে প্রকৌশলী নিয়োগে করণীয় নির্ধারণে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাইলেজ ইস্যু : ট্রেন চালকদের সোমবার থেকে কর্মবিরতি স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা