বারইয়াহাট পৌরবাজারের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উপর কাঁচা বাজার পূর্বে ছিল না। রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বেই ছিল সবজির হাট। গত এক যুগ ধরে এই বাজার সম্প্রসারিত হয়ে বিক্রেতা বাড়তে থাকলে সবজির হাট দিনে দিনে রেল লাইনের উপর উঠে আসে। শুরুতে দুই একজন বিক্রেতা এসে রেললাইনে বসে ভ্রাম্যমান ভাবে বিক্রি করতে শুরু করে সবজি পণ্য। পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে এই বিক্রেতার পরিমাণ এখন অর্ধশত প্রায়। বারইয়াহাট রামগড় সড়কের ঢুকলেই রেলাইনের দুপাশে কেউ রেলপথের মধ্যখানের অংশের সংকীর্ণ স্থানে বসে গেছে দোকান সাজিয়ে। আগে এক পার্শ্বে থাকলেও দিনে দিনে এই হাট আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। গত এক বছরে এই রেলপথে অন্তঃত ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রেলপথের এই অংশে হাট-বাজারের কাজে বা পায়ে হেঁটে চলতে গিয়ে মোবাইল কানে দিয়ে কেউ অমনোযোগী হয়ে পড়ছে, আবার কেউ কেউ কথা বললে অন্যমনস্ক হয়ে।
সম্প্রতি মিঠাছরা বাজারের জনৈক ব্যক্তি বারইয়াহাটে রেলের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করেছিল। শান্তিরহাটের একজন মুক্তিযোদ্ধাও মৃত্যুবরণ করেছেন। একে একে অনেক তাজা প্রাণ এই রেল লাইনেই হারিয়ে গেছে। বারইয়াহাট বাজারের সচেতন ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেয়র আসে মেয়র যায়, সকল মেয়রই বরাবরই বলে গেছেন শীঘ্রই এই অবৈধ কাঁচা বাজার অপসারণের উদ্যোগ নিবেন। কিন্ত এই কথা আর কার্যকর হতে দেখা যায় না।
এ বিষয়ে মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, মানুষের জীবনের জন্য এই কাঁচা বাজারটি আমি শীঘ্রই অপসারণের ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি রেল লাইনের দুইপাশ সহ বাজার এলাকার রেলপথকে দৃষ্টিনন্দন ভাবে সাজিয়ে তোলার একটি স্বপ্ন রয়েছে। মাত্র কয়েকমাস পূর্বে দায়িত্ব নিয়েছি, আশা করছি শীঘ্রই এর বাস্তব প্রতিচ্ছবি আপনারা দেখতে পাবেন।