আন্তর্জাতিক মানের যুগোপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির রূপকল্প নিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইয়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে যাচ্ছে ‘বায়ো টেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ’। গতকাল শনিবার নতুন এই অনুষদের স্নাতক পর্যায়ে কারিকুলাম ও সিলেবাস তৈরির উদ্দেশে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিভাসু অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং চিফ পেট্রোন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলাইমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসুর জেনেটিঙ এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইলাম খান। সিলেবাস কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এএমএএম জুনায়েদ ছিদ্দিকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দিনব্যাপী কর্মশালায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি আগামী দিনের সম্ভাবনার নতুন হাতিয়ার। গত শতাব্দীতে যে কয়েকটি আবিষ্কার বিজ্ঞানের জগতকে তোলপাড় করে দিয়েছে তারমধ্যে অন্যতম ছিলো ডিএনএ–এর গাঠনিক বিন্যাস আবিষ্কার। তিনি সিভাসুর নতুন বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত দুনিয়া সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে–এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় জীবপ্রযুক্তি নীতি ও সিভাসুর নতুন অনুষদের পাঠ্যসূচিতে এর প্রভাব শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন জাতীয় জীবপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। নতুন বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের মিশন ও ভিশন উপস্থাপন করেন সিভাসুর গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. এসকেএম আজিজুল ইসলাম।