নগরীর বায়েজিদের চন্দ্রনগর এলাকায় ঠিকাদার মঞ্জু মিয়া খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম নোয়াখালীর সুধারামের চর বাটা এলাকার আব্দুল মালেক মাঝির ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আবদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধ প্রামণিত হওয়ায় নজরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সাহাবুদ্দিন সাইম নামে অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে মঞ্জু মিয়াকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। গাইতি, শাবল ইত্যাদি দ্বারা তাকে আঘাত করা হয়। পরদিন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী আছমা খাতুন বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম, সাহাবুদ্দিন সাইমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, মঞ্জু মিয়া রাজ মিস্ত্রীর ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন। চন্দ্রনগর এলাকার আরিফ নামের একজনের প্লটে নজরুলসহ কয়েকজনকে সাথে কয়েকদিন যাবৎ কাজ করছিলেন। ঘটনার দিন নজরুলের সাথে কাজের বিষয়ে মঞ্জু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। পরে মঞ্জু মিয়া নজরুলকে থাপ্পড় মারেন। পরে নজরুলসহ কয়েকজন মিলে মঞ্জু মিয়াকে গাইতি, শাবল ইত্যাদি দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। আদালতসূত্র জানায়, তদন্ত কার্যক্রম শেষে মঞ্জু মিয়া হত্যা মামলায় নজরুল ও সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ দুজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন বিচারক।