ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, প্রচলিত পীর মুরিদীর আবহে পরিবেষ্ট না থেকে বায়তুশ শরফের পীর মুর্শিদরা ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণে নিবেদিত থেকে যেভাবে দেশে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, বায়তুশ শরফ মসজিদ ভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হলেও মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, হেফজখানা, ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের মাধ্যমে ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বায়তুশ শরফের সাথে অনেক পূর্ব থেকে পরিচয় এবং যাতায়াতের কথা তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মহানবী (সা.) যেভাবে সেবা, দয়া ও জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বায়তুশ শরফ তারই বাস্তব উদাহরণ। গত ১৮ অক্টোবর কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে জব্বারিয়া একাডেমী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলা ও কারিগরি শিক্ষা ভবন, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) মসজিদ এবং একাডেমিক লাইব্রেরি উদ্বোধন ও ত্রিরত্ন মেধা বৃত্তির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সভাপতি ও রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেঙের মহাপরিচালক এম এন সিরাজুল ইসলাম। শুভেচ্ছ বক্তব্য দেন, বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ। বক্তব্য দেন, ধর্মবিষয়ক সচিব আবদুল হামিদ, যুগ্ম সচিব ও একান্ত সচিব ছাদেক হোসেন, কঙবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন, কঙবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।