বাম-প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

সিপিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা

| শনিবার , ৮ মার্চ, ২০২৫ at ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় সিপিবি চট্টগ্রামের কার্যালয় প্রগতি ভবনে সমাবেশ পরবর্তীতে লাল পতাকার মিছিলের আয়োজন করা হয়। সভায় চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃণাল চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাই লাল দাশ, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সহসাধারণ সম্পাদক নুরু ছাফা ভূঁইয়া, কোতোয়ালী থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টচার্য্য প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের বিভক্তির পর ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ কলকাতা সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। একই সম্মেলনে খোকা রায়কে সম্পাদক করে কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ব বাংলা আঞ্চলিক কমিটি তথা পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও এর অনেক আগে থেকেই এ দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর কমিউনিস্ট কর্মীদের ওপর হত্যা, নির্যাতন, জেল, জুলুম, হুলিয়ার খড়গ নেমে আসে। এরমধ্যেও কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে তেভাগা, নানকার, টংকসহ নানা কৃষক আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনের পাশাপাশি ছাত্র ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন সংগঠিত হয়।

১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহীর খাপড়া ওয়ার্ড কমিউনিস্ট রাজবন্দীদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে সাতজন কমরেড শহীদ হন। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সংগঠনে কমিউনিস্ট পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটনে পার্টির পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত ও অংশগ্রহণ এ দেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। পূর্ব পাকিস্তানের শুরু থেকেই শোষণ এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টরা তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিস্টরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালোবাসার মধ্য দিয়ে মানবিক সমাজ গঠন করুন
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে অস্ত্র ও গুলিসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার