বাম জোটের হরতাল পালন

চট্টগ্রামে প্রভাব পড়েনি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ মার্চ, ২০২২ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালে চট্টগ্রামে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। গতকাল সকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের উদ্দেশ্যে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেছে।
সকাল থেকে প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ছিল জীবনযাত্রা। নিউ মার্কেট, ওয়াসার মোড়, জিইসি, আগ্রাবাদ, আন্দরকিল্লা, দেওয়ানহাট, অলংকার মোড়, বহদ্দারহাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই সব প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, চাকরিজীবী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যার যার কর্মস্থলে গেছেন। ওই সময় যান চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। স্বাভাবিক ছিল নগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শপিংমল, অফিস-আদালত। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটের সব ট্রেন ছেড়ে গেছে। সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কোথাও হরতালের প্রভাব চোখে পড়েনি।
এদিকে নগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজার গেট, কদমতলী, সিনেমা প্যালেস, স্টেশন রোড থেকে আন্তঃজেলার সব রুটে বাসসহ অন্যান্য যান চলাচল করেছে।
নিউ মার্কেট এলাকায় মিছিল করার সময় পুলিশের সাথে বাম দলের নেতাকর্মীদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এ সময় পুলিশ মাইক, ব্যানার কেড়ে নিয়ে হরতাল সমর্থনকারীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
পুলিশ জানায়, হরতালের কোনো প্রভাব চট্টগ্রামে পড়েনি। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় চলেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলাকারী বাহিনী তৎপর ছিল।
গতকাল সোমবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারই অংশ হিসেবে নিউ মার্কেট, রিয়াজুদ্দীন বাজার, স্টেশন রোড, জুবিলী রোড, শাহ আমানত মার্কেট, কোতোয়ালী এলাকায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ইনচার্জ আল কাদেরি জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আশোক শাহা, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেনের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
পৃথক চারটি মিছিল নিয়ে বাম সংগঠনের কর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে এক হন। কয়েকটি এলাকায় বাম জোটের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশকে চড়া হতে দেখা যায়। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন দুজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিউ মার্কেট, স্টেশন রোড, সিআরবি, লাভলেইন, আমতল, কোতোয়ালী মোড় ও লালদিঘি এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন বাম নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮টার সময় নেতাকর্মীরা রেলস্টেশন চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে আমতল মোড়ে আসার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এ্যানি সেনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী সড়কে বসে পড়েন। এরপর পুলিশ তাদের জোর করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
আমতল থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা নিউ মার্কেট হয়ে জিপিও মোড় ঘুরে ফের নিউ মার্কেটের মোড়ে আসেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের মিছিলে বাধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমীসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের লাঠিপেটায় ছাত্র ইউনিয়নের তাহলিল আবচার অর্ণব ও ছাত্র ফেডারেশনের ফাহাদ জামান জনি আহত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়া পৌর আ. লীগের সম্মেলন আজ
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেন সংকটে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়বে না : অর্থমন্ত্রী