নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৩ টার দিকে শাহবাগ বিরোধী ঐক্য নামের একটি গ্রুপ এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের। এ সময় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গণতান্ত্রিক জোটের কয়েকজন জানিয়েছেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে তারা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় শাহবাগবিরোধী ঐক্য নামের একটি গ্রুপ সেখানে মিছিল নিয়ে আসে এবং স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ তাদের উপর হামলা করা হয়। এসময় পুলিশ দুই গ্রুপকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি গ্রুপ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ধাওয়া দিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সামনে নিয়ে আসে। সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। হামলায় আহত কয়েকজন হলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাস, অর্থ সম্পাদক সুদীপ্ত গুহ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইদুল হক, সহসভাপতি এ্যানি চৌধুরী, ঢাকা নগরের সংগঠক তানভীর হোসেন, চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া, ইউএসটিসির সংগঠক সৌমেন, নগর শাখার অর্থ সম্পাদক অর্পিতা নাথ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক রিশাদ আমিন, সংগঠক ইশান বড়ুয়া ও শফিক ইসলাম।
ঘটনার পর প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত জুলাই ঐক্য চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান বলেন, দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল পুলিশ। এরমধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে যায়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর শাখার সহসভাপতি পুষ্পিতা নাথ বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করতে এসেছিলাম। এ সময় শাহবাগ বিরোধী ঐক্য নামের একটি গ্রুপ আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মাহফুজুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি এবং দুই পক্ষকে সরিয়ে দিই। ধাওয়া, হাতাহাতির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
