বাবুলের মামলায় বাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২২ at ২:২৯ অপরাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনে স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাঁকেই গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আবদুল হালিম শুনানি শেষে আজ রবিবার এ আদেশ দেন।

বর্তমানে শ্বশুরের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, বাবুল আক্তারকে তার করা মামলায় গ্রেফতারের আদেশ চেয়ে গত সপ্তাহে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।

এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে। উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত বছরের ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।

এদিকে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন নতুন একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করেন। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। বর্তমানে তিনি এ মামলায় ফেনী কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, বাবুলের মামলায় আদালতে দেওয়া পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ অক্টোবর নারাজি পিটিশন দাখিল করে বাবুল আক্তারের আইনজীবী। ৩ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পিবিআইকে ফের মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাদের যা কিছু নান্দনিক তার নেপথ্যে গণিত
পরবর্তী নিবন্ধসিনহা হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু