এক বুক স্বপ্ন নিয়ে
হাতে ঘড়ি দেয় সন্তানকে,
কখনো সন্তান আনবে বিজয় ছিনিয়ে!
সেই আশায় বুক বাধে অসহায় পিতা।
কারো বাবার ভেজা শার্টখানা–
দিনের পর দিন পড়তে পড়তে ফুটো হয়ে যায়,
সে শার্টের উপর কত কাপড়ের জোড়াতালি,
তাতে কি আসে যায় বাবার।
সন্তান যে একদিন হবে মস্ত বড় অফিসার!
তখন না হয় কিনে নিবে দামী একটা শার্ট।
জুতা খানা যে সেলাই করতে করতে,
আর ত জায়গা থাকে না সেলাই করার।
কাক ফাটা রৌদ্রে খালি পায়ে যায় হেঁটে মাঠে,
সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করতে হবে এই ভেবে।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে মায়ের–
চিন্তার শেষ থাকে না।
সন্তান যে যাবে স্কুলে, কি যে দেবে খেতে।
কৌটার মধ্যে আছে একমুটো চিড়ে
ভিজিয়ে রেখেছে লবণ দিয়ে।
খাবে যে বাছাধনটা।
শিক্ষা জীবন অধ্যায় সমাপ্ত করে।
হাজার হাজার জায়গায় চাকরি আবেদন করেও।
যখন বার বার পরাজিত হয়,
তখন চোখের জলে অঝোরে ঝরে দুচোখ বেয়ে জল।
টাকার কাছে বার বার হেরে যায় অদম্য মেধাবী।
বাবা জান, আজ আমার চাকরির পরীক্ষাটা না–
অনেক ভালো হয়েছে কিন্তু………..।
ঠিক আছে মন খারাপ করিস না খোকা–
কাল থেকে আমার সাথে যাবি মাঠে।