বাবা ফেরেনি বাকরুদ্ধ ঋদ্ধি

| বুধবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম তলার আইসিইউ ইউনিট। তার পাশেই ভিজিটর রুম। সেই রুমে কান্নার রোল। সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রক্তিম শীলের নানা স্মৃতি হাতড়িয়ে বিলাপ করছেন স্বজনরা। সেখানে মামার কোলে ছিল ঋদ্ধি। সবার কান্নাকাটি দেখে পাঁচ বছরের ঋদ্ধি কিছু বুঝতে না পারলেও, বাকরুদ্ধ। ছলছল চোখে এদিক ওদিক করছেন ছোট শিশুটি। এখনো সে জানে না তার বাবা আর নেই। খবর বাংলানিউজের।
মাসখানেক আগে ঠাকুরদা সুরেশ চন্দ্রকে হারিয়েছে ঋদ্ধি। বাবাসহ ৫ কাকা গিয়েছিলেন ঠাকুরদার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। আর ফেরেননি। ঘাতক পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে জ্ঞান হারান বাবা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে বাবার জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় ছিলে ৫ বছরের অন্তিক শর্মা ঋদ্ধি। ১৪ দিন পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন তার বাবাও।
পরিবারের সবার সঙ্গে বাবার মরদেহের অপেক্ষায় ছিল ঋদ্ধির। অপলক নয়নে তাকিয়ে আছেন সেই ছোট শিশুটি। কখন বাবার দেখা মিলবে। সবাই ঋদ্ধিকে বলছে বাবা আর ফিরবে না। কিন্তু ছোট শিশুটি তা মানতে নারাজ। তার অপেক্ষা বাবার। ঋদ্ধি বলছিলো, বাবা ব্যথা পেয়েছে। বাবা হাসপাতালে ঘুমাচ্ছে। বাবা আসবে।
ঋদ্ধির বাবা রক্তিম শীল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি ডুলাহাজারা এলাকার প্রাণ আরএফএলের ডিলার। পরিবারের অন্য ভাইদের চেয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল রক্তিম। পরিবারের ৬ ছেলেকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা মা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেরককে খুঁজছে পুলিশ, প্রাপক তিন দিনের রিমান্ডে
পরবর্তী নিবন্ধছয় পুত্র হারা বৃদ্ধা মৃণালিনী বাঁচবেন কী নিয়ে?