রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছিলেন এক ঠিকাদার মো. আব্দুল হামিদ বাবলু (৫৪)। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) মোহাম্মদপুর থানায় ওই ব্যবসায়ী বাদী হয় মামলাটি করেন।
মামলা দায়েরের চার দিনের মাথায় থানা–পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যবসায়ীর টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত তার একমাত্র মেয়ে মিনা হামিদ। আর সেই টাকা মেয়ে দিয়েছেন তার স্বামীকে। অথচ মামলার সময় বাবার সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন মিনা। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার আব্দুল হামিদের মেয়ে মিনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে মিনার স্বামী সাকিবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় সাকিবুল হাসানের কাছ থেকে চুরির ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মিনা হামিদ পুলিশকে জানান, বাবার সিন্দুক থেকে টাকা নিয়ে তিনি নিজের পছন্দে বিয়ে করা স্বামীর হাতে তুলে দেন। খবর বাংলানিউজের।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, ব্যবসায়ী হামিদের বাসার সিন্দুক থেকে টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত তার একমাত্র মেয়ে মিনা ও তার স্বামী সাকিবুল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। জানা যায়, পেশায় ঠিকাদার আব্দুল হামিদ ওরফে বাবুল স্ত্রীুসন্তান নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে থাকেন। ঈদুল আজহার দু–দিন আগে সপরিবার তিনি ভোলায় গ্রামের বাড়িতে যান। ঈদ উদ্যাপন শেষে গত ২০ জুন ঢাকার বাসায় ফেরেন। ঢাকায় ফেরার ১১ দিনের মাথায় তিনি বাসায় টাকা রাখার সিন্দুক খুলে দেখতে পান, তার ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নেই। আব্দুল হামিদ বাসায় সবাইকে টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার কথা কেউ–ই স্বীকার করেননি। পরে হামিদ ৪ জুলাই মেয়ে মিনাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চুরির মামলা করেন।