বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ইরুন্নেসা ইমু। আজ বুধবার সকালে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই সে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর মোহছেনিয়া মরিয়ম তাহিয়া মহিলা মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ইরুন্নেসা ইমু। হাদিস শরীফ পরীক্ষার খাতায় এক হাতে লিখেছে, আরেক হাতে মুছেছে চোখের পানি।
বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় ভোরে নিজের বাড়িতেই তার বাবা ডা. আবু তোরাব মো. জহুরুল হক (৭০) মারা যান। বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই মেয়ে সহপাঠী ও কেন্দ্র সচিবের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠান ফয়জুল বারী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার্থী ইরুন্নেসা ইমু।
মৃত ডা. আবু তোরাব মো. জহুরুল হক একই এলাকার ডা. মোহাম্মদ ইসমাইলের পুত্র। তার সংসারে স্ত্রী তিন ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রয়েছে বলে জানিয়েছে শাহমীরপুর মোহছেনিয়া মরিয়ম তাহিয়া মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মৌলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ভোরে নিজ বাড়িতে মারা যান। বুধবার রাত দশটার দিকে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মাদ্রাসার পরিচালক মৌলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের রেজিষ্ট্রশন না থাকায় পটিয়া নলান্ধা গাউসিয়া বদরিয়া দাখিল মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করি।
কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা আমাতুল্লাহ্ আরজু বলেন, ‘পরীক্ষার্থী ইরুন্নেসা ইমো বাবার মৃত্যুর খবরটি শুনে আমরাও তাকে সান্তনা ও উৎসাহ দিয়েছি পরীক্ষা দিতে। তার দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হয়েছে। কান্না করতে করতেই পরীক্ষা দেয় সে।’