মীরসরাইয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে পিতা নুরুজ্জামানের হাতে একমাত্র পুত্র শাহেদ (২৪) খুন হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলাধীন মায়ানী ইউনিয়নস্থ আবুতোরাব ঘড়ি মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পিতা নুরুজ্জামান প্রবাসে থাকেন। সম্প্রতি নুরুজ্জামান দেশে এসেছেন। ২০দিন আগে নুরুজ্জামানের ছোট মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে নুরুজ্জামানের সাথে অপরিচিত এক নারী অতিথিকে দেখা যায়। পরিচয় জানতে চাইলে বন্ধুর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় সকলের সাথে।
পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকার সুযোগে কথিত বন্ধুর স্ত্রীকে গতকাল বিয়ে করে নুরুজ্জামান নিজের গ্রামের বাড়িতে এনে বসবাস শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নুরুজ্জামানের স্ত্রী কামরুজাহান তার বড় বোন নুর জাহান, ছোট বোন নুরহনাহার, বড় মেয়ে ফারহানা, ছোট মেয়ে সুমি এবং একমাত্র ছেলে শাহেদকে নিয়ে প্রথমে মীরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে থানার সহযোগিতা চান।
কামরুন্নাহারের অভিযোগ করে বলেন, পুলিশি সহযোগিতা চাইলেও মীরসরাই থানা পুলিশ তাদের সহযোগিতা না করে কোন ঘটনা ঘটলে দেখবেন বলে বিদায় করে দেন।
থানা থেকে বাড়িতে গেলে নুরুজ্জামানের সাথে স্ত্রী কামরুননাহারের বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নুরুজ্জামান স্ত্রী কামরুন্নাহারের চুলের মুষ্টি ধরে প্রহার করতে গেলে একমাত্র ছেলে শাহেদ মাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে নুরুজ্জামান ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের একমাত্র ছেলের বুকের ডান পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত শাহেদকে উদ্ধার করে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই ছেলে শাহেদের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি এ্যাম্বুলেন্সে শাহেদের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছেন থানার এক এএসআই। লাশের পাশে বিলাপ করে পুলিশের অসহযোগিতার কথা বলছেন শাহেদের মা আর খালারা।
এ বিষয়ে মীরসরাই থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। কিন্তু তার বাবা চুরি করে সিলেট থেকে বিয়ে করেছে তার জন্য বাবার সাথে ঝগড়া করার জন্য পুলিশ চাইবে আর পুলিশ তার সাথে যাবে এটা কি হয়?












