বাবার জালে একে একে উঠে এলো তিন মেয়ের লাশ

ভ্রম্যমান প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৫ মার্চ, ২০২৫ at ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাহার ছড়ার মজা খাল থেকে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

তারা তিন জন মিলে দুপুরের দিকে খালে শাক তুলতে গেলে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ফিরে না আসায় রাতে অভিভাবসহ স্থানীয়রা খুঁজতে বের হলে খালের পানিতে তিন শিশুর মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখে। পরে সেখান থেকে শিশু তিনটির মৃত্যু দেহ উদ্ধার করেন তারা।

পানিতে পড়ে মৃত্যু শিশু তিনটি পূর্ব বাহার ছড়া ৬ নাম্বার ওয়ার্ড়ের একই এলাকার ইউসুফ নবীর শিশুকন্যা আছমাউল হুছনা প্রকাশ রিয়া মনি (১০), মনজুর আলমের শিশু কন্যা মরিয়ম (৯) এবং জাফর আলমের শিশু কন্যা তসলিমা (৯)।

নিহত মরিয়মের পিতা মনজুর আলম জানান, গ্রামের একটি ছেলের কাছে খবর পেয়ে বিষয়টি সন্দেহজনক লাগলে জাল নিয়ে বিলে ছুটে যান তিনি। পরে বিলের পানিতে জাল ছিটকে মারলে প্রথমবারেই নিজ কণ্যার মরদেহ জালে আটকায়।

একে একে আরও দুইবার জাল মেরে স্থানীয়দের সহায়তায় নিখোঁজ শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন বলে জানান মঞ্জুর আলম।

বিলের এতো পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়টির কারণ জানতে চাইলে এলাকাটির বাসিন্দারা জানান, বিগত কয়েকমাস আগে জালালাবাদের এ “ধনকা বিল” থেকে প্রচুর পরিমাণে কাটা হয়েছে টপ সয়েল। বিপুল পরিমাণে মাটি লুট করার ফলে জমিতে গভীর গর্তের তৈরি হয়েছে, পরে ধান চাষ করতে ফসলি জমিতে পানি ঢুকালে গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। এতে বুঝার উপায় নেই কোনটা গর্ত আর কোনটা সমতল। আর এ গর্তের পানিতে পড়েই মৃত্যু হয় এ শিশুদের।

এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মছিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আনুমানিক রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগির তাজ জনি ফোন করে জানালে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।

পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআদালতের পেশকার বাদী হয়ে করা মামলায় ৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা