মৃত্যুই যেনো ডেকে এনেছে আবদুর রহিমকে। চাঁদপুরের মতলব কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র আবদুর রহিম মিয়াজি একদিন আগে (মঙ্গলবার) চাঁদপুর থেকে পিতা মোহাম্মদ ইউনূস মিয়াজির কাছে বেড়াতে আসেন। রাতে পিতা–পুত্র একই সঙ্গেই থাকেন সাইলো কোয়ার্টারের মুজিব কলোনির ব্যাচেলর কোয়ার্টারে। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে পিতা ইউনূস মিয়াজি বসবাস করেন। চিটাগাং সাইলোর অপারেটর ইউনূস মিয়াজি পরিবার পরিজনকে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে রেখে এখানে একা বসবাস করতেন। মাসে মাসে বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তিন পুত্রের মধ্যে বড়পুত্র আবদুর রহমান কাতারে থাকেন। মেজপুত্র আবদুর রহিম মতলব কলেজে এবং ছোট পুত্র আবদুর রাজ্জাক স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। স্ত্রী রহিমা খাতুন বাড়ি সামলান। সাজানো গোছানো চমৎকার একটি সংসার রয়েছে তাদের।
কিন্তু গতকালের দুর্ঘটনা সংসারটিকে তছনছ করে দিয়েছে। বাবার সঙ্গে মারা গেছে কলেজ পড়ুয়া মেজপুত্র আবদুর রহিম। তিনি এসেছিলেন বাবার কাছে বেড়াতে। কথা ছিল বাজার সদাই করে বাড়িতে ফেরত যাবেন। পিতা ব্যাংক থেকে টাকাও তুলেছিলেন, কিন্তু বাজার সদাই আর করা হলো না। তার আগেই পিতা–পুত্র একই সঙ্গে পরপারে পাড়ি জমালেন। আবদুর রহিমকে মৃত্যুই যেনো ডেকে এনেছিল চট্টগ্রামে।
গতকাল তার স্বজনেরা আহাজারি করছিলেন। বুক ফাটা আর্তনাদ করছিলেন রহিমা খাতুন। কন্টেনার চাপায় স্বামী এবং পুত্রকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রহিমা খাতুন চাঁদপুর থেকে গতরাতে চট্টগ্রামে ছুটে এসেছেন।