স্বয়ং বাবাই তার সন্তানকে খুন করতে ভাড়া করেছিলেন দুর্ধর্ষ কিলার এবাদুল্লাহ ডাকাতকে। খুনের পর সাজাতে চেয়েছিলেন ডাকাতির ঘটনা। তবে সফল হয়নি সেই পরিকল্পনা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিন গ্রেপ্তার হন পিতা ও সৎ ভাই। আর গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবার ভাড়া করা কিলার এবাদুল্লাহ ডাকাতকে। তার স্বীকারোক্তি মতে গহীন পাহাড়ে তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে তিনটি বন্দুক। মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, মহেশখালীর শাপলাপুরে পিতা কর্তৃক পুত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিলার এবাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৮ মে দিবাগত রাত ১টায় শাপলাপুরের পাহাড়ি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার স্বীকারোক্তি মতে পাহাড়ে আস্তানা থেকে ৩টি দেশীয় তৈরী বন্দুক উদ্ধার করা হয়। সহকারী পুলিশ সুপার (মহেশখালী সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ মে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামিরছড়ি এলাকায় পিতা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ঘুমন্ত অবস্থায় ছেলে ও পরিবারের অন্য ৪ সদস্যকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। এদের মধ্যে আহত ছেলে জোবাইর (৩৫) চকরিয়া হাসপাতালে মারা যান। মা, ভাই-বোন ও ভাগ্নিসহ পরিবারের ৪ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, শাপলাপুরের পিতার হাতে পুত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল এজাহার নামীয় আসামি এবাদুল্লাহ ডাকাতকে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই আমরা। আমরা জানতে পারি ঘাতক পিতা আলতাফ হোসেনের ৩ জন স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করেন আলতাফ। সম্পদের লোভে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের সাথে আঁতাত করে প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের উপর এ হামলা চালান।