বাবর-রিজওয়ানকে স্ট্রাইক রেট উন্নতি করার পরামর্শ কোচের

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৪:২২ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের টিটোয়েন্টি দল থেকে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ১০ মাস ধরে দলের বাইরে। তারা কেন বাইরে এমন প্রশ্ন অসংখ্যবার শুনেছেন দলটির কোচ মাইক হেসেন। জবাবে পাকিস্তান কোচ পরিশীলিত ভাষায় বললেন, কারও বিরুদ্ধে তার কোনো এজেন্ডা নেই। আছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে সততা। ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের মূল্যায়নে সৎ থাকা জরুরি। সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাপারগুলি বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা জরুরি। আমি তো কারও দুর্বলতা নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আমি বরাবরই যেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছি, সেটি হলো আধুনিক ক্রিকেটে যে ধরনের খেলার প্রয়োজন হয় এবং যে স্ট্রাইক রেট প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে ভালো কন্ডিশনে। সব ক্রিকেটারের চাওয়া থাকে, কোচ যেন তাদের প্রতি সৎ থাকেন। এই ভাবনা মাথায় রাখতে হয় কোচদের। কোনো একজন ক্রিকেটারকে পছন্দ করা বা কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার মানে এই নয় যে, সৎ থাকা যাবে না। বাবর ও রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেটে যে উন্নতি করতে হবে। সেটা নানা সময়েই বলেছেন হেসন। গত মাসে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পরও তিনি তা উল্লেখ করেছিলেন। বিভিন্ন ম্যাচে, বিশেষ করে সামনের বিগ ব্যাশে স্ট্রাইক রেট ও খেলার ধরনে উন্নতি দেখাতে পারলে যে জাতীয় দলের ফেরার দুয়ারও খুলতে পারে, তা বলে রেখেছেন কোচ।

বাবররিজওয়ানের না থাকা নিয়ে প্রশ্ন বেশি উঠছে পাকিস্তানের বর্তমান দলের ব্যাটসম্যানদের অধারাবাহিকতায়। সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফাখার জামান, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ হারিসের মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানরা কেউই খুব ধারাবাহিক হতে পারছেন না। সেটি মানছেন হেসনও। তবে পাকিস্তান কোচ তুলে ধরছেন এই ব্যাটসম্যানদের প্রতিভা ও সম্ভাবনার দিকটি। শারজাহতে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। এই ব্যাটিং লাইন আপ মাত্র গড়ে উঠছে। বেশ কজন ব্যাটসম্যান আছে যারা নিজেদের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। তবে এই মুহূর্তে সেই দিনগুলি খুব বেশি বয়ে আনতে পারছে না তারা। সেটা ঠিক আছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো ব্যাটিং গ্রুপে কে কী করতে পারে। শারজাহতে প্রতিটি ম্যাচে আমরা ‘পার’ স্কোরের চেয়ে সম্ভবত ২০ রান করে বেশি করেছি। যদিও বিভিন্ন সময়ে বেশ কজন ব্যাটসম্যান ভালো করতে পারেনি, তার পরও আমি বেশি আগ্রহী এটাতে যে, শেষ পর্যন্ত আমরা কত রান করেছি ও কীভাবে করেছি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ১৪০ রান করেছি। ওই উইকেটে আসলে ১২০ রানই অনেক রান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট ক্লাবে রিশাদ
পরবর্তী নিবন্ধউইকেট স্লো ছিল বলেই মিডল ওভারে ধীরগতির ব্যাটিং