পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। ব্যবস্থাপনায় বদল এসেছেঅ। নতুন নির্বাচক কমিটিও দায়িত্ব নিয়েছে। তাই ভাবনা আর পরিকল্পনা বদলে গেছে বলে মনে করেন শান মাসুদ। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের মতে, বোর্ডের বদলে যাওয়া ভাবনার প্রভাবই পড়েছে সাদা বলের নেতৃত্বের পরিবর্তনে। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়ক থেকে সরানোর ক্ষেত্রে বোর্ডের সতর্কতা অবলম্বন করাও একটি কারণ বলে মনে করেন মাসুদ। সমপ্রতি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন এসেছে পাকিস্তান জাতীয় দলে। মাত্র এক সিরিজ অধিনায়কত্ব করার পরই টি–টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আফ্রিদিকে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে গত নভেম্বরে তিন সংস্করণের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন যিনি, সেই বাবর আজমকে আবার দেওয়া হয়েছে সাদা বলের দুই সংস্করণের দায়িত্ব।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে অবশ্য পালাবদল হয়ে গেছে এর আগেই। নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন মহসিন নাকভি। নতুন নির্বাচক কমিটিও নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। যেখানে নতুন এক ধারার সূচনা করা হয়েছে। কোনো প্রধান নির্বাচক নেই এই কমিটিতে। সবার ক্ষমতা সমান। পরিবর্তনের সেই পালায় অবশ্য টিকে গেছেন মাসুদ। বাবরকে সাদা বলের নেতৃত্বে ফেরানো হলেও টেস্টের নেতৃত্বে বদল আনা হয়নি। নিজে টিকে গেলেও সাদা বলের নেতৃত্বের পরিবর্তনটা অনুধাবন করতে পারছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন মাসুদ। নতুন একটি ব্যবস্থাপনা এসেছে, নতুন নির্বাচক কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের নতুন পরিকল্পনা সবসময়ই থাকে। তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে এবং সেটির ব্যাখ্যাও তারা দিয়েছেন।
তারা সম্ভবত শাহিন আফ্রিদির ভার কমাতে চায় এবং বিশ্রাম দিতে চায়। তার ওয়ার্কলোড সামলানোর ব্যাপারও আছে। গত বিশ্বকাপের আগে আমরা ইনজুরির কারণে নাসিম শাহকে হারিয়েছি। যেটির চড়া মূল্য দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। শাহিনকে নিয়ে এরকম কিছু চায় না তারা। পরিবর্তন হয়েই থাকে, এবার যেমন হয়েছে। সাদা বলের নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘিরে পাকিস্তান দলে বিভেদ, আফ্রিদি ও বাবরের বন্ধুত্বে চিড় এবং এই ধরনের নানা গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। তবে আদতে এরকম কিছু হবে না বলেই বিশ্বাস মাসুদের। আমার মনে হয়, ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের সবার লক্ষ্য একটিই, পাকিস্তান দল যেন ভালো করে। নেতৃত্বে যে–ই থাকুক না কেন, সবাই তার পাশে আছে এবং দলকে ভালো অবস্থায় নিতে প্রস্তুত আছে।