আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে আছেন চারজন নারী। বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ ছাড়াও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা অন্য তিন নারী হলেন– বিক্রমপুর কিংসের সহ–সভাপতি তাসমিয়া রেজোয়ান বিনতি, গাইবান্ধা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশেনের সদস্য মাহমুদা খাতুন অদিতি ও বাফুফের বর্তমান টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য রওশন আখতার হায়দার ডেইজি। নারী ফুটবলে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। জাতীয় দলের পাশাপাশি এ সময়ে অনূর্ধ্ব–১৯ ও অনূর্ধ্ব–১৬ দলও সাফের চ্যাম্পিয়ন। দেশের নারী ফুটবলের উন্নতির পেছনে বড় অবদান মাহফুজা আক্তার কিরণের। তিনি দুইবার ফিফার কাউন্সিল মেম্বারও ছিলেন। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফের নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মাহফুজা আক্তার কিরণ ও কামরুন নাহার ডানা। সেবার সদস্য পদে কিরণ জিতলেও হেরে যান ডানা। ২০২০ সালে একমাত্র নারী প্রার্থী ছিলেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন সদস্য পদে। এবার রেকর্ড চারজন নারী বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে কে থাকেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পর্যন্ত। টানা দুইবারের সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজনই বাফুফের ভোটের ময়দানে নতুন মুখ। তাসমিয়া রেজোয়ান বিনতি কয়েক বছর ধরেই বিক্রমপুর কিংসের সহ–সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগের স্ত্রী। দেশের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো ভোটের মাঠে নেমেছেন। মাহমুদা খাতুন অদিতি সাবেক ফুটবলার ও ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ। বসুন্ধরা কিংস নারী ফুটবল দলের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ছিলেন তিনি। প্রথম চ্যাম্পিয়নে তিনি ছিলেন প্রধান কোচ, পরের দুইবার সহকারী। ২০১১ সালে নারী ফুটবল লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন। সাদাকালো জার্সিতে তিনি হ্যাটট্রিকও করেছিলেন ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে। বিগত চার বছর ধরে বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রওশন আখতার হায়দার ডেইজি। তিনি সাবেক অ্যাথলেট। জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়ক ছিলেন ১৯৭৮ সালে। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সদস্য।












