সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের পর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হওয়া কক্সবাজারের এক তরুণীর খোঁজ পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হারুন আসাদ মির্জা নামের এক মার্কিন নাগরিক। এ বিষয়ে ওই তরুণীর বক্তব্য শুনতে আগামী ২৬ জানুয়ারি মা–বাবসহ ওই তরুণীকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ। খবর বাংলানিউজের।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার। এরপর দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার জেনে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি। পরিবারের চাপে একপর্যায়ে আসাদ মির্জার সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তরুণীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণ বাংলাদেশে ছুটে আসেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। গতকাল আদালত ওই তরুণীর বক্তব্য শুনতে তাকে ২৬ জানুয়ারি হাজির করতে তার বাবা–মাকে বলেছেন। এছাড়া কক্সবাজার সদর থানার ওসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রুলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেনো আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।