সাঈদ সরদার সায়মন (৪০) ও আছমা বিবিকে (৩৬) সকলেই চেনেন স্বামী স্ত্রী হিসেবে। তবে এটা তাদের আসল পরিচয় না। মূলত: স্বামী স্ত্রীর পরিচয় তারা ধারণ করেছেন ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে। তাদের ইয়াবা ব্যবসার বিস্তার চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়িয়ে ঢাকা পর্যন্ত। ইয়াবা পাচারে নানা কৌশল অবলম্বনের পরও অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর পুলিশী রিমান্ড শেষে তাদের ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইয়াবার চালান নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে নামার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই জুটিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। তাদের থেকে ৩৫০০ পিস ইয়াবা, ইয়াবা কেনা-বেচার হিসাব রাখার একটি খাতা, ইয়াবা সেবনের উপকরণসহ একটি বাঙ জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চট্টগ্রামের ইয়াবা জুটি সায়মন ও আছমাকে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে র্যাব-১১।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, দুজনই চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। সায়মন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘ আট বছর ধরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও সহযোগী আছমা বিবিকে নিয়ে গত দুই বছর ধরে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি। তারা কৌশলে কঙবাজারের মাদক ডিলারদের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহের পর অভিনব নানা কায়দায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আশেপাশে পাচার করে আসছিলেন। পর্দানশীল নারীর ছদ্মবেশে আছমা বোরকার আড়ালে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং ট্রলিব্যাগে করে সেগুলো বহন করে আনতেন। মাসে পাঁচ থেকে ছয়বার তারা যাত্রীর ছদ্মবেশে বাস ও ট্রেনযোগে এভাবে ইয়াবা এনে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিলেন।