নানা আয়োজনে বান্দরবান ও রাঙামাটিতে বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে।
বান্দরবান : বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, নানা আয়োজনে বান্দরবানে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়েছে। বড়দিন উৎসবকে ঘিরে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত লাইমীপাড়া, ফারুকপাড়া, গেজমনি পাড়া‘সহ পাহাড়ী পল্লীগুলো সেজেছে নতুন সাজে। গতকাল বান্দরবানে ফাতিমা রাণী ক্যাথলিক গীর্জা ফাদার সুধীর দাশ ধর্মীয় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জেলা সদরের লুসাই বাড়িতে ব্যাপটিষ্ট গীর্জা এবং ডনবস্কো এলাকায় ফাতিমা রাণী ক্যাথলিক গীর্জায় সমবেত প্রার্থনায় অংশ নেয় খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী নারী পুরুষ ও শিশুরা।
সমবেত প্রার্থনায় ফাতিমা রাণী ক্যাথলিক গীর্জা ফাদার সুধীর দাশ আগামী দিনের সুখের শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে, প্রার্থনায় আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখশান্তির প্রত্যাশা করে সকলে।
এদিকে খ্রিষ্টান ভক্তরা এসময় যীশুর পথ নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে একসাথে সুন্দরভাবে পৃথিবীতে বসবাসের আহবান জানান। এদিকে বিশ্বের জনগণের সুখ শান্তির প্রত্যাশায় প্রতিবছররের মত এবারের বড়দিনের এমন আয়োজনে যীশুর কাছে প্রার্থনা করার আশাবাদ বাক্ত করেন খ্রিষ্টান ধর্মযাজকেরা।
রাঙামাটি : রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটিতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনা ও আনন্দ–উৎসবের মাধ্যমে বড়দিন উদযাপন করেছেন। শহর–গ্রামের প্রতিটি গির্জার বাইরে ও ভেতর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি; সেই সঙ্গে চলেছে বড়দিনের গান–বাজনা।
গতকাল বুধবার জেলা শহরের আসামবস্তি নির্মলা মারিয়া গীর্জার উদ্যোগে সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছেন পাহাড়ের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ রাঙামাটির বাইরে থেকে আসা অনেক খ্রিস্টান পর্যটক। সমবেত প্রার্থনায় দেশ, জাতি ও সবার মঙ্গল কামনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে কেক কেটে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন করা হয়। এর আগে, মঙ্গলবার রাঙামাটির সাধু যোসেফ গীর্জায় সমবেত প্রার্থনা আর কেক কাটার মধ্য দিয়ে খ্রিস্ট জন্মোৎসবের সূচনা করেন রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার জেওমে ডি. রোজারিও। এছাড়াও জেলার বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলীতেও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন উৎসবে আনন্দে মেতে উঠেছে।
রাঙামাটির কেন্দ্রীয় গীর্জা সেন্ট যোসেফ চার্চের প্রধান পুরোহিত ফাদার মাইকেল রায় বলেন, আজকের দিনটি আমাদের শিক্ষা দেয়, আমরা যাতে চিন্তা চেতনায়, হৃদয়ে, মন–মানসিকতায় বড় হয়ে উঠতে পারি। আজকের দিনে আমরা দেশ জাতি ও সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি।