পার্বত্য জেলার বান্দরবানের দীর্ঘ চার বছর পর গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার দায়ের স্বামী মো. হায়দার আলীকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ের আরও ২ মাসে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে আদালতে তোলা হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুণ পাল এই আদেন দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত হলেন মো. হায়দার আলী (৩২), তিনি রাঙামাটি রাইখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খন্তাকাটা গ্রামে মৃত: লতিফুর রহমানের ছেলে।
এজাহারে বলা হয়, গত সাতমাস আগে নিহত রুপা আক্তারকে বিয়ে করেন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. হায়দার আলী (৩২)। বিয়ের পর শাশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে চাচির বাড়িতে বেড়াতে যাবে বলে বের হয়ে যান। সন্ধায় পেরিয়ে এলেও বাড়িতে ফিরে না আসলে পরিবারে লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
গত ২০২১ সালে ৮ আগষ্ট দুপুরে গলাচিপা মুসলিম পাড়া এলাকায় মুখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় সড়কের পাশে ঝোপের থেকে অজ্ঞাত নারীটি লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার মরদেহটি চিহ্নিত করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
পরে মেয়েকে হত্যার দায়ের থানায় মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহন শেষে হত্যার প্রমানিত হওয়াই ৩০২ ধারা আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। নিহত পিতা নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর পর আমার মেয়েকে হত্যার করার দায়ের আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এতে আমি খুব খুশি ও আনন্দিত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আসামীর বিরুদ্ধের সাক্ষ্যগ্রহণের পর সত্য প্রমাণিত হওয়াই ও স্বীকারোক্তি জবানবন্দি শেষে আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।জেল ও কারাগারে দ্বায়িত্বরত এস আই মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, হত্যার দায়ের আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সবকিছু শেষে আসামীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।