বান্দরবানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বান্দরবানে জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা শীর্ষক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই, বিজু, বৈসু, সাংক্রান উদযাপনের জন্য বুধবার থেকে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস, জুতা, ব্যাগের দোকানগুলো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। কোভিড-১৯ কমিটির সভায় গৃহিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানগুলোতে বেচাকেনা করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
এদিকে গতকাল লকডাউনের তৃতীয় দিনে বান্দরবানে অনেকটায় স্বাভাবিক ছিলো অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল। রিকশা ভ্যান, ব্যাটারি চালিত টমটম গাড়ি, জিপ-পিকআপ ও সিএনজি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও মোটামুটি কম বেশি খোলা রাখতে দেখা গেছে জেলা শহরে। তবে দূরপাল্লার গণপরিহন যথারীতি বন্ধ ছিল। বান্দরবান বাজারসহ আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম ছিলো চোখে পড়ার মত। অপরদিকে লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও খুব একটা চোখে পড়েনি বুধবার। তবে প্রথম দুদিনে স্বাস্থ্য বিধি না মানা এবং দোকান খোলা রাখার অভিযোগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত জরিমানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীরা।