বান্দরবান পৌরসভায় উনত্রিশ হাজার সাতশত উনত্রিশ ভোটের জন্য লড়ছেন ৫ জন মেয়র প্রার্থী। আগামীকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
তবে বহিরাগতদের আগমনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থী।
সকালে বান্দরবান পৌরসভার মেম্বার পাড়াস্থ অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ রেজা।
অপরদিকে বিকালে পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়াস্থ নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেছে নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রার্থীর অভিযোগ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনকে প্রমাণ করতে হবে তারা কারোর পক্ষে নয়। বহিরাগতদের বিষয়ে লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছি। ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, “বহিরাগতদের নির্বাচনের আগের দিন বান্দরবান পৌর এলাকা ত্যাগের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবাসিক হোটেল মালিকদেরও বলা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে। নির্বাচনে ১৩টি ভোট কেন্দ্রে ৮১টি বুথকক্ষের দায়িত্বে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব এর ৩টি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ৪টি এবং পুলিশের ৫টি টহল টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৮ জন পুলিশ এবং ৭ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৫.৮৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বান্দরবান পৌরসভার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২৯ হাজার ৭২৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৬০৯ জন এবং নারী ১৩ হাজার ১২০ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩টি, বুথকক্ষের সংখ্যা ৮১টি।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে মো. ইসলাম বেবী, ধানের শীষ প্রতীকে মো. জাবেদ রেজা, নারিকেল গাছ প্রতীকে মো. নাছির উদ্দিন, লাঙ্গল প্রতীকে মো. শাহজাহান, মোবাইল ফোন প্রতীকে বিধান লালা।
অপরদিকে কাউন্সিলর পদে নয়টি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং সংরক্ষিত তিনটি পদে ৭ জন নারী প্রার্থী লড়ছেন।