বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মাতামুহুরী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে আলীকদম থানা পুলিশ। লাশটি পর্যটক শেখ জুবাইরুল ইসলামের। তিনি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ বাজার পাড়ার কানাইমাঝির ঘাট এলাকা থেকে নদীতে পানিতে ভাসমান একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লাশটি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা গ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকের। নিহতের নাম শেখ জুবাইরুল ইসলামের। পিতার নাম শেখ হিদায়েতুল ইসলাম এবং মাতার নাম মোছাঃ কামরুন্নাহার। তার আইডি নম্বর ২৮৫৪২৭১০৪১। তার ঠিকানা: ধলইতলা পাচুড়িয়া, ডাকঘর: হাট পাচুড়িয়া, পোস্ট কোড: ৭৫১০, উপজেলা: লোহাগড়া, জেলা: নড়াইল।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের এডমিন ‘বর্ষা’ এর নেতৃত্বে ৩৩ জন পর্যটকের একটি দল বুধবার (১১ জুন) আলীকদম উপজেলা ভ্রমণে এসেছিলেন। এই দলে কো-হোস্ট হিসেবে ছিলেন হাসান নামের একজন এবং স্থানীয় গাইড ছিলেন সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা।
তাদের গমনের উদ্দেশ্য ছিল আলীকদম উপজেলার ক্রিসতং পাহাড় ও থানচি উপজেলার লিমান লিবলু এবং সাকাহাফং চূড়া জয় করা। পর্যটকদের দলটি দুটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। একটিতে ২২ জন এবং অন্যটিতে ১১ জন সদস্য ছিলেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম রিমন জানান, বর্তমানে ২২ জনের একটি দলের ১৯ জন সদস্য আলীকদম থানায় অবস্থান করছেন। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে জুবাইরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে কো-হোস্ট হাসান’সহ বাকী ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি থানায় অবস্থানরত ১৯ জন পর্যটকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন যে, গত বুধবার রাতে তারা তৈনখাল পার হচ্ছিলেন। ১৯ জন নিরাপদে খাল পার হতে পারলেও কো-হোস্ট হাসানসহ তিনজন তৈনখাল পার হতে পারেননি। এই তিনজনের একজন হলেন শেখ জুবাইরুল ইসলাম, যার লাশ বৃহস্পতিবার ভোরে আলীকদম সদরের ফরেস্ট ঘাটে ভেসে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিন জানান, তৈনখালের আগায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন ২২ জন পর্যটকের একটি গ্রুপ। গ্রুপের ১৯ জন সদস্য আলীকদম থানায় বর্তমানে অবস্থান করছে। ওদের নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ভাসমান লাশটি একজনের। অন্য দুজনের খোঁজে সেনাবাহিনীর বিজিবির সহায়তায় অভিযান চালানো হচ্ছে। দূর্গম নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা হওয়ায় তাদের খোঁজে পেতে সময় লাগছে।