বান্দরবানে ভ্রমণকারীদের গাড়িতে ব্রাশফায়ারের ঘটনায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেএসমং মারমা সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী থানার গাইদ্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা য়চিংখই মারমা বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, মামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমাকে (৬০) প্রধান আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামীরা হলো রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী থানার গর্জন ত্রিপুরা (৪০), চন্দ্রঘোনা থানার মংনুচিং মারমা (৫০), ক্যবামং মারমা (৫০), পুসুই থোয়াই মারমা (৫০), অমর জ্যাতি চাকমা অপু (৪০), বাদো মারমা (৩৫), বাসিংমং মারমা (৩০), মংচইকে মারমা (৫৫), জাইলিমং মারমা (৩০), মংসিং থোয়াই মারমা (৩৫), সুইলং মারমা (৩৫), ছুমং মারমা (৩৫), চথুই মারমা (৩৫), ক্যকা প্রু মারমা (৩৪), সিংনুংমং মারমা (৩৭), মংহাই মারমা (৩৪), ক্যউচিং (৩৮), ক্যসুইমং বাবুল (৫০), উচিংমং (৫০), গুনধন তঞ্চঙ্গ্যা (৫০), শক্তিলাল ত্রিপুরা (৪৫) এবং খোকন তঞ্চঙ্গ্যা (৫৭)। অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে মামলায়। অভিযুক্ত আসামীরা বান্দরবান সদর, রাজবিলা, রোয়াংছড়ি এবং রাঙামাটি জেলার রাজস্থলীসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার বাদী য়চিংখই মারমা বলেন, “গত ১৮ সেপ্টেম্বর রুমা উপজেলা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ শেষে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলীতে ফেরার পথে বান্দরবান সদরের রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কের কুহালং ইউনিয়নের গলাচিপা এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ভ্রমণকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ব্রাশফায়ার করে। এতে গাড়িটি উল্টে খাদে পড়ে ৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় গাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভ্রমণকারীদের গাড়িতে ব্রাশফায়ারের ঘটনায় ২৩ জনকে আসামি করে ৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর আসামীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।”