বান্দরবানে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে ও আত্মগোপনে থাকা অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতা আজও গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে অন্তর্ঘাতী কার্য সম্পাদন ও উক্ত কার্য–সম্পাদনের জন্য দাঙর উদ্দেশ্যে অস্ত্র–শস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় দলবদ্ধ হয়ে সাধারণ জনগণকে গুরুতর জখম, প্রাণনাশের হুমকি প্রদান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণের মতো অপরাধে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, পৌর কাউন্সিলর সৌরভ দাস শেখর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ফাহিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন, রাজু বড়ুয়া, সাদেক হোসেন চৌধুরী, ক্যলুমং, ময়েনু মারমা, প্রদীপ দাস, সুজন চৌধুরী, রুবেল চৌধুরী প্রমুখ। তবে অভিযুক্ত আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ রেজা বলেন, চারটি মামলা দায়ের বিষয়টি শোনেছি। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযুক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তারা ছাত্র জনতাসহ দেশবাসীর উপরে যে সকল জুলুম নির্যাতন করেছে, সেগুলোর বিচার হওয়া উচিত। যাতে অন্যরা ভবিষ্যতে জুলুম নির্যাতন করতে সাহস না পায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে মামলা বাদী মো. শামীম হোসেন ও শহীদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের আমলে তারা অনিয়ম দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার, জুলুম নির্যাতন, আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের শাস্তির জন্য জনস্বার্থে মামলা করেছি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি পুলিশ আজও অবৈধ সম্পদক অর্জনকারী কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, এ পর্যন্ত ৪টি মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে।