টানা বর্ষণে বান্দরবানের থানচি সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে থানচি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে নিলে শুক্রবার সাড়ে এগারোটা থেকে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। অব্যাহত ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার থেকে বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় মুষল ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণে বান্দরবানের থানচি সড়কের নীলগিরি পর্যটন স্পট থেকে এক কিলোমিটার দূরে পাহাড় ধসে পড়ে। এতে থানচি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা থেকে পাহাড়ের ধসের মাটি সরিয়ে ফেলায় সড়ক যোগাযোগ ফের চালু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, নীলগিরি থেকে নীলদিগন্ত পর্যটন স্পটের মাঝামাঝি এলাকায় পাহাড় ধসে থানচি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে ফেলায় শুক্রবার সাড়ে এগারোটা থেকে সড়ক যোগাযোগ পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
এদিকে টানা বর্ষণে বান্দরবান–কেরানীহাট চট্টগ্রাম সড়ক, বান্দরবান–রাঙামাটি সড়ক, লামা–সূয়ালক সড়ক, রোয়াংছড়ি–রুমা অভ্যন্তরীণ সড়কে এবং জেলা শহরের বনরুপা পাড়া, ইসলামপুর, বালাঘাটা, কালাঘাটা, হাফেজঘোনা এলাকায়ও বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এসব ঘটনায় প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বান্দরবান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সৌরভ দাশ শেখর জানান, কয়েকদিন ধরেই বান্দরবানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। বন্যা এবং পাহাড় ধসে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।