বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় তৈনখালে ভাসমান নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম স্বর্ণা। এ ঘটনায় হাসান নামে আরও ১ জন পর্যটক নিখোঁজ রয়েছে এখনো। আজ শুক্রবার সকালে তৈনখালের ঘাট থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (১১ জুন) আলীকদম উপজেলার দূর্গম ক্রিসতং পাহাড় চূড়ায় যাবার পথে খরস্রোতা তৈনখাল পার হবার সময়ে স্রোতে ভেসে গিয়ে ৩ জন পর্যটক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুদিন পর শুক্রবার সকালে তৈনখালের ঘাট এলাকায় স্রোতে ভাসমান একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নারী পর্যটকের লাশটি উদ্ধার করে। নিহত পর্যটকের নাম ঝর্ণা স্মৃতি বলে জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মাতামুহুরি নদী থেকে ভাসমাস অবস্থায় জুবাইরুল ইসলাম নামে আরেকজন পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে এখনো ট্যুরের কো-হোস্ট হাসান নামে আরও ১ জন পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম রিমন জানান, নিখোঁজ নারী পর্যটকের লাশ পাওয়া গেছে। এনিয়ে জুবাইরুল ইসলাম ও ঝর্না ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নিখোঁজ রয়েছে হাসান নামের আরেকজন। আইনশৃংখলা বাহিনী নিখোঁজের খোঁজ করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিন জানান, ক্রিসতং পাহাড় ভ্রমণে যাবার পথেই তৈনখাল পার হতে গিয়ে ৩ জন পর্যটক স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন। ইতিমধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অপর পর্যটকের খোঁজে অভিযান চলমান রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের এডমিন ‘বর্ষা ইসলামের নেতৃত্বে ৩৩ জন পর্যটকের একটি দল বুধবার (১১ জুন) আলীকদম উপজেলা ভ্রমণে এসেছিলেন। এই দলে কো-হোস্ট হিসেবে ছিলেন হাসান নামের একজন এবং স্থানীয় গাইড ছিলেন সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা।
তাদের গমনের উদ্দেশ্য ছিল আলীকদম উপজেলার ক্রিসতং পাহাড় ও থানচি উপজেলার লিমান লিবলু এবং সাকাহাফং চূড়া জয় করা। পর্যটকদের দলটি দুটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। একটিতে ২২ জন এবং অন্যটিতে ১১ জন সদস্য ছিলেন।