৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাদ পড়াদের মধ্যে একটি অংশকে ফৌজদারি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের ইতিহাস না থাকা সাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগের কথা বলেছেন জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে এক সভা শেষে তিনি বলেন, ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিল অথবা এমন কোনো হিডেন অপরাধ করেছে, যেটা সামনে আসছে… এরা ছাড়া অন্যদের নিয়োগপ্রাপ্তি শুধু একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার, তারা এটি পাবে। ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ঘুরে এলে দুই–তিন দিনের মধ্যে নতুন নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন সচিব। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ৪৩তম বিসিএসের ২১৬৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ২২৭ জন প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য আসায় তাদের সাময়িকভাবে বাদ রেখে গত ৩০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর থেকেই বাদ পড়া চাকরি প্রার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। গত রোববার তারা সম্মিলিতভাবে জনপ্রশাসন সচিবের বরাবরে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।
বাদ পড়া প্রার্থীদের অধিকাংশই মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেসব আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার এই বৈঠক ডাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর একজন প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, নিয়োগ ও পদন্নোতি শাখার অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সভা শেষে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আজকে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে সে বিষয়ে একটি সামারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবে, রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সেই সামারি যাবে। সেখান থেকে ফাইল নামার পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে মন্তব্য করে সচিব বলেন, এটা শুধু একটি ছেলে বা একটি মেয়ের বিষয় নয়, তার পরিবারের রুটিরুজি, রোজগার। অনেকেই এটার পরে বিয়ে করবে। বাবা–মায়ের সংসার, চিকিৎসা, তাদের লালিত আশা–আকাঙ্ক্ষা ত্বড়িৎ গতিতে যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। দুই–তিন দিনের মধ্যে তালিকা জানতে পারবেন।