বাথরুমের দরজার পাশে পড়ে ছিল গৃহবধূর নিথর দেহ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২৩ মার্চ, ২০২২ at ৭:২৪ অপরাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ফারজানা আকতার বকুল (২৬) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার ৬ নম্বর পোমরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পোমরা নবাবীপাড়া এলাকা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শ্বশুরবাড়িতে বাথরুমের দরজার পাশে পড়ে ছিল এই গৃহবধূর নিথর দেহ। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করে বলে জানালেও তার ভাই বলছেন এটি হত্যাকাণ্ড।

জানা যায়, নিহত গৃহবধূর স্বামী মো. ইসমাইল আরব আমিরাত প্রবাসী। তিনি একই এলাকার মো. শাইর মিয়ার ছেলে। ছয় বছর আগে তিনি একই এলাকার আবুল বশরের মেয়ে বকুলকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৫ বছরের দুই যমজ সন্তান রয়েছে।

নিহত বকুলের ভাই মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, “মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার বোনের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালিয়ে আসছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে অনেকবার বৈঠক করেও বোনকে সংসারে সুখ এনে দিতে পারলাম না। আমার বোনকে ওরা মেরেই ফেলল। ওরা আমার বোন আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও প্রকৃতপক্ষে এটা আত্মহত্যা নয়; এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলমগীর তালুকদার রনি বলেন, “পরিবারের লোকজন সকালে ঘুম থেকে উঠে গৃহবধূ বকুলের দেহ বাথরুমের দরজার পাশে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

তিনি বলেন, “নিহত গৃহবধূর বিরুদ্ধে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পরকীয়ার অভিযোগ ছিল। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে সমঝোতা করার জন্য একটি বৈঠক করার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু দুই পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতির কারণে বৈঠকটি করা সম্ভব হয়নি। বুধবার ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।”

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব মিলকী বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে বিষক্রিয়ায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধমূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় পাঁচ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা