বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন লিওনার্দো ডি অলিভেরা জানুজ্জি গতকাল শনিবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে সিলভিও লুইজ রদ্রিগেস টেস্টাসেকা, ব্রাজিল–বাংলাদেশ চেম্বারের পরিচালক ইমরান চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক এ এম সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার এসোসিয়েশনের মুহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন ও চেম্বার যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এ সময় ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ‘মেইড ইন বাংলাদেশ এঙপো সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বিবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. জয়নাল আবেদীন। অন্যান্যদের মধ্যে ট্রাস্টেড শিপিং লাইন্সের পরিচালক ওয়াহিদ আলম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ফখরুল ইসলাম ও মো. মেজবাহ উদ্দিন, এইচএনএস অটোমোবাইলস’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. এ আসলাম, শিপার্স কাউন্সিলের পরিচালক লোকপ্রিয় বড়ুয়াসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও চেম্বার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন লিওনার্দো ডি অলিভেরা জানুজ্জি বলেন, ব্রাজিলের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে হলে প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে হবে। আগামী ১৫–১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অনুষ্ঠেয় এঙপো দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ব্রাজিলের সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়েসহ ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরতে এই এঙপো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ ব্রাজিল হচ্ছে ল্যাটিন আমেরিকার গেটওয়ে। এছাড়াও বাংলাদেশ এবং ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের লক্ষ্যে কাজ করছে দূতাবাস। পাশাপাশি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং ট্রেড ফ্যাসিলেশন বাড়ানোর লক্ষ্যে দূতাবাস ব্রাজিল সরকারের সাথে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং দূতাবাস রয়েছে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের অধিক পণ্য আমদানি করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে একই সময়ে মাত্র ১৭৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। দুই দেশের এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিতে রয়েছে ট্যারিফ সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধকতা। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানি করতে গেলে ৩০–৩৫% শুল্ক প্রদান করতে হয়। তাই উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে শুল্ক কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একই সাথে চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগকারীদের একক ও যৌথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি তিনি আগামী জুনে ল্যাটিন আমেরিকার মাটিতে ব্রাজিলের সাও পাওলাতে অনুষ্ঠিতব্য ১ম বাংলাদেশ এঙপোতে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।