সচেতন মহলসহ দেশের আপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন, ভারত বিরোধী প্রচার–প্রচারণার বেড়াজালে প্রায় স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ–ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিগত পাঁচ দশকে এক দুর্গম পথ পরিভ্রমণ করেছে। মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার–জনগণের নানান সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিশ্বস্বীকৃত। বঙ্গবন্ধু শাসনামলে ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশ–ভারত দ্বিপাক্ষীক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৫ সালে এ বিষয়ে স্বাক্ষর হওয়া নতুন চুক্তির আওতায় রয়েছে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত হাটসহ আরো কিছু বাণিজ্য সম্পর্কিত চুক্তি। দেশের ব্যবসা–বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি–জ্বালানি, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য–সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সাথে অবারিত সুসম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুই দেশই সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ বিরোধী কৌশলগত অংশীদার হিসেবে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে অতিশয় সফল ও সার্থক হয়েছে।
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক তাৎপর্যপূর্ণ ভূ–রাজনৈতিক অবস্থানে অত্যুজ্জ্বল। চলমান বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডলার সংকটকালীন সময়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন সহজ করতে এবং ব্যয় সাশ্রয়ে বিকল্প মুদ্রা চালুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে রুপিতে লেনদেনের যুগে প্রবেশ করল। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ–ভারত দ্বীপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ–ব্যবসায়ী–ব্যাংকাররা উভয় দেশের উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য খরচ কমে আসার সাথে সাথে ডলার নির্ভরতাও কিছুটা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় (টাকা ও রুপি) বাণিজ্য শুরুর পর এ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসবে।’
১১ জুলাই ২০২৩ উল্লেখ্য কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুপিতে বাণিজ্য নিষ্পত্তি শুরুর বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ‘বড় সূচনার প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের ঝুড়িতে থাকা ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনবে রুপির লেনদেন। বড় কোন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ এটি। সামনের দিকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে আরো বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে আজকের এই উদ্যোগ।’ উক্ত অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘রুপিতে আমদানি–রপ্তানি শুরু হওয়ায় দুই দেশের বন্ধুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের উন্মোচন হল। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ভারতের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। রুপিতে বাণিজ্য নিষ্পত্তি দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল। রুপিতে লেনদেন শুরু আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন ও অভিন্ন সংস্কৃতির ঘোষণার বিষয়টি প্রমাণ করে।’
বিশিষ্ট অর্থনীতিদিবরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তাদের মতে, রুপিতে লেনদেন শুরুর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে একটি ভিন্নতা আসবে। ভারত একটি বড় অর্থনীতির দেশ। বৃহৎ অর্থনীতির দেশের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। ২০০ কোটি ডলার রপ্তানির সমপরিমাণ ভারতীয় রুপি দিয়ে বাণিজ্য শুরু হতে কোনো সমস্যা না থাকলেও এক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকদের নজর রাখতে হবে বাংলাদেশ যেন রুপির বিনিময় মূল্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বিশেষ করে, ডলারের সঙ্গে রুপির বিনিময় হার কত হবে, সেটি কি বাজারভিত্তিক হবে, না নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাসঙ্গিকতায় খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ, স্বাগত জানানোর বিষয়। আসলে একক মুদ্রার উপর নির্ভরশীলতা ভালো না। তা নানা সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে এই লেনদেন প্রক্রিয়া চালুর পর কি সমস্যা হতে পারে তা আগে থেকেই চিন্তা করা উচিত। তবে এই উদ্যোগটিকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, ভারতকে বাণিজ্যিক লেনদেনে যে পরিমাণ অর্থ দিতে হতো, তার একটি অংশ আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দিতে হবে না। ফলে রিজার্ভের উপর কিছুটা হলেও চাপ কমবে। এতে এক্সচেঞ্জ রেটের ক্রস কনভারশন কিছুটা কমে আসবে। ব্যবসার খরচও কমবে।
উদ্বোধনের দিন বাংলাদেশের তামিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ ভারতীয় রুপির পণ্য কেনার জন্য ভারতীয় আমদানিকারকের এলসি খোলার মধ্য দিয়ে প্রথম লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের আমদানিকারক দেশটির আইসিআইসিআই ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খোলে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) ঢাকা শাখার মাধ্যমে এ রপ্তানি করা হয়। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশ থেকে রুপিতে প্রথম ১ কোটি ২০ লাখ রুপির পণ্য আমদানি করে নিটা কোম্পানি। এসবিআই এর মুম্বাই শাখা পণ্য আমদানিতে ভারতে প্রতিনিধি ব্যাংক হিসেবে কাজ করবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১–২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ৮ হাজার ৯১৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্যই আমদানি হয় ভারত থেকে। একই অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে পণ্য রপ্তানি করে ১৯৯ কোটি ডলার। ঐ অর্থবছরে আমদানি–রপ্তানি মিলে উভয় দেশের মধ্যে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়।
৩ এপ্রিল ২০২৩ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) এর মতে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গবেষণা সংস্থাটিকে উদ্বৃত করে ইকোনমিক টাইমস জানায়, বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যেই ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ছে। গত অর্থবছর শেষে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার দাঁড়াবে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। তাতে বিদেশি বাণিজ্যের হিস্যা হবে ৪৮ শতাংশ। তবে দেশটির পণ্যের চেয়ে সেবা রপ্তানির পরিমাণই বেশি। প্রাসঙ্গিকতায় গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের সহ–প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারত যে বাজার উন্মুক্ত করেছে, এটি তারই লক্ষণ’। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের প্রঞ্চম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় অনেক ছোট অর্থনীতির দেশ হলেও সেখান থেকে বিপুল আমদানি করে। মূলত ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি এতটা বেশি। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১–২২ অর্থবছরে সে দেশের পণ্যের এক নম্বর আমদানিকারক দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও বাংলাদেশ। এর দুই বছর আগে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নবম। আর ২০২০–২১ অর্থবছরে ছিল পঞ্চম স্থানে।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিশ্ববাজারে এলডিসিভিত্তিক সুবিধাগুলো ওঠে যাওয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। এরই আলোকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি ‘সেপা’ নামে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে যৌথ সমীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। সেপা চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পণ্য–সেবা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মেধাস্বত্ব ও ই–কমার্সের মতো অনেক বিষয়। এ চুক্তি হলে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে এবং বিনিয়োগের দরজা উন্মুক্ত হবে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘সমৃদ্ধির জন্য আন্তঃযোগাযোগ: দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা চালুর চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যবসা–বাণিজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ হয় ভারতের সঙ্গে। আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের হয় মাত্র ১ শতাংশ। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলেই ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে ১৮২ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বাড়বে ১২৬ শতাংশ। আর নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনব্যবস্থা চালু হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে ২৯৭ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বাড়বে ১৭২ শতাংশ।
১৮ মার্চ ২০২৩ ভারত–বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনন্য মাইলফলক হিসেবে খ্যাত ‘ভারত–বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। ভ্রাতৃপ্রতীম প্রতিবেশি রাষ্ট্র। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি–ঐতিহ্যের অবাধ প্রবাহ, ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক সেতু বন্ধন দুদেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করেছে। আমরা কৃতজ্ঞ যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার এবং জনগণ অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল। ১ কোটি বাঙালি শরণার্থীদের স্থান দেওয়া, তাদের খাবার–চিকিৎসার ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দেওয়া এসব আমরা ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। ভারত–বাংলাদেশ মৈত্রীবাহিনীর অভিযানে আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি।’
উল্লেখ্য বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনাকে আমরা বাস্তবে রূপদান করেছি। দুদেশের মধ্যে যেসব সমস্যা একে একে আমরা সমাধান করেছি। ৩০ বছর মেয়াদী গঙা পানি চুক্তি করেছি। ভারতের সঙ্গে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে যেসব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল– রেল যোগাযোগ থেকে শুরু করে সড়ক যোগাযোগ সবই আমরা মুক্ত করেছি। ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারণ আমরা ঘটিয়েছি। আমরা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভারতের কাছ থেকে আমরা উন্নয়নে সহযোগিতা পাচ্ছি। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদার করা, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছি।’ দু–দেশের অটুট বন্ধনকে প্রশ্নবিদ্ধ–ফাটল ধরানোর লক্ষ্যে দেশীয়–আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের কূট প্ররোচনা–চক্রান্ত অবিরাম অব্যাহত রয়েছে। এসব অন্ধকারের শক্তি–কাপুরুষদের নষ্ট রক্তপ্রবাহে কথিত ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক কর্মযজ্ঞে দেশের আপামর জনগণের কোন সমর্থনই নেই। তবুও এসব অপশক্তির কুৎসিত পদচারণা সম্পর্কে অবশ্যই জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। পরিকল্পিত পন্থায় দু–দেশেরই আনুপাতিক উন্নয়নে নতুন বাণিজ্য উদ্যোগ সর্বাত্মক সফলতা অর্জন করুক – এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।
লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।