বাণিজ্যিক আদালত শীঘ্রই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে

চট্টগ্রামে প্রধান বিচারপতি

আজাদী প্রতিবেদন  | রবিবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, গত দেড় বছরে বিচার ব্যবস্থায় যে মৌলিক রূপান্তর সাধিত হয়েছে, তা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক মাইলফলক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এক নতুন প্রাতিষ্ঠানিক যুগে প্রবেশ করেছে। গতকাল নগরীর রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বেভিউ হোটেলের কনফারেন্স কক্ষে বাণিজ্যিক আদালত নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ‘অপারেশনালাইজিং কমার্শিয়াল কোর্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের মাধ্যমে বহুদিনের দ্বৈত প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা দূর হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছে। এর ফলে বিচার বিভাগ এখন নিজস্বভাবে পদ সৃজন, বাজেট বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ উন্নয়ন, নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার সংস্কারকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই ধারা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবসমূহ সরকার দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন করেছে, যা শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যকে প্রতিফলিত করে। বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি গবেষক দল বাণিজ্যিক আদালত সংক্রান্ত আইনের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে, যা পরবর্তীতে সারাদেশে রোডশো, বিডার সঙ্গে নিবিড় পরামর্শ, ব্যবসায়িক আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্যিক অংশীজনদের মতামতের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ হয়।

এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নও গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি সহায়তা প্রদান করে। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয়ের আরও পরীক্ষণ ও পরিমার্জনের পর খসড়াটি এখন চূড়ান্ত আইনগত রূপ পেয়েছে এবং গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়িক সমপ্রদায়ের পক্ষ থেকে দ্রুত ও আধুনিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি ডেডিকেটেড বা বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার আহ্বান করে এসেছিল যা শীঘ্রই বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রধান স্টেফান লিলার। অনুষ্ঠানে বিশেষ ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, কানাডার রাষ্ট্রদূত অজিত সিং, অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিন্টন পুকি এবং সুইডেন দূতাবাসের কর্মকর্তা অলি লুন্ডিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে টেরিবাজারের ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রার্থিতা ঘিরে মিত্রদের অসন্তোষ, কী ভাবছে বিএনপি?