বাজেট বাড়ে, মেয়াদ বাড়ে শেষ হয় না সংস্কার কাজ

দরপ আলী চৌধুরী সংযোগ সড়কে নিত্য দুর্ভোগ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শনিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়নের পাঠানদন্ডি গ্রামের একটি অবহেলিত সড়কের নাম দরপ আলী চৌধুরী জামে মসজিদ সংযোগ সড়ক। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার বিহীন থাকায় এলাকাবাসীর দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল এলজিইডির মাধ্যমে ৫৬৪শ মিটার প্রতিরক্ষা দেয়ালসহ এইচবিবি দ্বারা সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ৩৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৯৪ টাকার টেন্ডার হয়। আর কার্যাদেশ পায় মো. মোরশেদ নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন এমএস নির্মাণ সংস্থা নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উক্ত কাজের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু কাজ না করেই চলে যায় মেয়াদ। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে টেন্ডার হওয়ার পরও সড়কটির উন্নয়ন কাজ না করায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ যেন কমছেই না। সংস্কার না হওয়ায় বিগত বর্ষায় এ এলাকার মানুষকে সড়কটি ব্যবহারে পোহাতে হয়েছে নরক যন্ত্রণা। হাঁটু সমান কাদার উপর হেঁটেই এলাকার মানুষ যাতায়াত করেছেন। বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও মহিলাদের। নামাজের জন্য মুসল্লীরা মসজিদেও যেতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার মুরুব্বিরা।
সরেজমিন পরিদর্শনের সময় আবদুল মুবিন, মো. ফেরদৌস, আবু তাহেরসহ এলাকার কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, ২০১৫ সালে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর দেয়া বরাদ্দে একবার সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে আর সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রহিম চৌধুরী বেশ কয়েকবার সড়কে ইট-বালি দিয়ে সচল রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিগত বর্ষায় সড়কটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় বৃষ্টি হলেই সড়কটি দিয়ে হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। তারা সড়কটিতে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করার দাবি জানান।
চন্দনাইশ থেকে সদ্য বদলিকৃত উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউন নবী জানান, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল প্রতিরক্ষা দেয়ালসহ এইচবিবি দ্বারা সড়কটি উন্নয়নের জন্য টেন্ডার আহ্বানের মধ্যদিয়ে কার্যাদেশ প্রদান করা হয় মো. মোরশেদের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস নির্মাণ সংস্থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে না পারায় ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ বার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। দীর্ঘ এ সময়ে সড়কে মাত্র ২ হাজার ইট ফেলা ছাড়া আর কোনো কাজই করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ গত জুন মাসে বিল নেয়ার জোর তৎপরতা চালায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তিনি বলেন, সম্প্রতি তার বিদায়ের এই সময়েও টাকার লোভ দেখিয়ে বিল নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
এ ব্যাপারে কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মো. মোরশেদের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
পরবর্তী নিবন্ধহালদায় মাছ ধরার নৌকা ধ্বংস, ঘেরা জাল জব্দ