বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ কমানো নিয়ে প্রশ্ন

| শুক্রবার , ১০ জুন, ২০২২ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষায় ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ কমেছে। কোভিড পরবর্তী বাস্তবতায় সরকারের এ ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এই অঙ্ক মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সেই হিসেবে নতুন অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ১ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। অবশ্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান মনে করেন, শিক্ষার পেছনে সরকারের এবারের বরাদ্দ বাস্তবসম্মত হয়নি। তিনি বলেন, কোভিডকালীন সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাজেটে সুস্পষ্টভাবে বরাদ্দ রাখা দরকার ছিল। বরাদ্দ কমানোর সমালোচনা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, মাদ্রাসা হয়েছে। শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়েছে। সবকিছুই যদি বাড়ে, তাহলে আমরা কমানোর কথা চিন্তা না করে অন্তত আগের বছরের মত রাখা যেত।

অবশ্যই সেটা বাড়ানো উচিৎ ছিল। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের শিক্ষা খাত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পেলে তা আদর্শ ধরা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে যে বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন, তা জিডিপির ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের বছর এটি ছিল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ আবুরখীল অমিতাভ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সাধারণ সভা
পরবর্তী নিবন্ধআর্তমানবতার সেবায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম