বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করলে সমূলে উৎখাত করব : হাসনাত

| বৃহস্পতিবার , ২২ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কারে সহায়তা না করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলমের উপস্থিতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আজকে খবর পেয়েছি, এটি বাংলাদেশের জন্য খুব দুঃখজনক একটি বিষয়। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারে রয়েছি, পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে আমাদের সহায়তা করার কথা, সেখানে তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনারা যে আজকে ব্যারিকেড খুলে দিয়ে বাংলাদেশে পানি প্রবেশ করতে দিলেন। অন্যদিকে আমরা দেখেছি, তিস্তাতে পানির সংকটে সেখানে চাষাবাদ করা যায় না। আমাদের যখন পানির প্রয়োজন তখন পানি দিচ্ছেন না। যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন বেড়িবাঁধ খুলে দিয়ে বন্যায় বাংলাদেশের মানুষকে সংকটের মধ্যে ফেলেন। আন্দোলনকারীদের এই নেতা বলেন, যারা আন্তর্জাতিকভাবে এই বাংলাদেশের সংস্কারকে ও পুর্নগঠনকে বাধা দিতে চায়, তাদের আমরা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে যেভাবে দ্রব্যমূল্য সাথে সাথে কমে যায়, ঠিক একইভাবে ৫ অগাস্টের পরে বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্য কমে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, এখন আবার একটি নতুন রাজনৈতিক দলের অধীনে আবার সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে। খবর বিডিনিউজের।

আমরা সর্তক করতে দিতে চাই, জনমুখী সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিন্ডিকেট মাফিয়াতন্ত্র তৈরি করে বাজার ব্যবস্থায় কোনো অসন্তোষ যদি তৈরি করেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে যেভাবে গদি থেকে নামিয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে সিন্ডিকেট সমূলে উৎখাত করব। ভূমি অফিস, বিআরটিএ, ওয়াসা, কাস্টমসসহ যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘দুর্নীতির আখড়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এখনো সময় আছে, আপনারা লাইনে ফিরে আসুন। দুর্নীতির শৃঙ্খল যদি আরও বৃদ্ধি করেন, তাহলে ৫ আগস্টের মত, বঙ্গভবনের মত, সংসদ ভবনের মত একই ধরনের পরিণতি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। ঘুষ খেয়ে রাষ্ট্র সংস্কার করা যায় না মন্তব্য করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগী হন। যদি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ ঘুষ খায়, তাহলে প্রথমেই আপনারা তাকে ঘুষি মারুন। এই ঘুষিটা একটা মেটাফরিক অর্থে ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ তাকে সাথে সাথে প্রতিরোধ করুন। তারপর বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা কাঠামোর মধ্যে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাকে বিচারে সোপর্দ করুন। আর যারা চাকরি করছেন। বিগত সরকারের সময় যে ধরণের শাস্তি হত। মৃদু তিরষ্কার অথবা ওএসডি এগুলো কোন শাস্তি নয়। আমরা নিশ্চিত করব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যা করা প্রয়োজন তা করে ঘুষদুর্নীতির আখড়া সমূলে উৎপাটন করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউল্টো পথে এস আলমের বাস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল সিএনজি, আহত ৪
পরবর্তী নিবন্ধ‘এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার নয়’