বাজারে মসলার পর্যাপ্ত মজুদ

জাহেদুল কবির | মঙ্গলবার , ১৩ জুন, ২০২৩ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

কোরবানি ঈদের বাকি আছে দুই সপ্তাহ। সাধারণত কোরবানির সময় যতই ঘনিয়ে আসে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মসলার বাজার। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। গত দুই সপ্তাহ ধরে মসলার বাজারে উত্তাপ ছড়ালেও এখন দাম কমতির দিকে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির সময় স্বাভাবিকভাবে মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, দারুচিনি, এলাচের মতো মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। তবে এ বছর মসলার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় দাম ২০ শতাংশ মতো বেড়েছে। ভোক্তারা বলছেন, কোরবানির বাজারকে ঘিরে মসলার বাজার অস্থিতিশীল করে তুলে ব্যবসায়ীরা। তাই প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

গতকাল সোমবার চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৯০ টাকায়। এছাড়া গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, দারুচিনি ৩৪০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪৫০ টাকা এবং জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৯০ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি কেজি ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা, দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। স্বাভাবিকভাবে কোরবানির সময় মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অনেক সময় বাজারে সংকট দেখা দেয়। তবে এ বছরের চিত্র ভিন্ন। বতর্মানে বাজারে প্রচুর পরিমাণে মসলার মজুদ রয়েছে। দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।

খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক হাজী জসিম ট্রেডার্সের জসিম উদ্দিন বলেন, মসলার বাজার কিছুদিন আগেও গরম ছিল। তখন ধীরে ধীরে কমছে। কোরবানির সময়ও কাছে চলে এসেছে। সামনে আর দাম বাড়ার কারণ দেখছি না। চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলার মজুদ রয়েছে। তবে এটি ঠিক দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। এর কারণ হলো, গত বছর ডলারের দাম কম ছিল। তাই আমদানি ব্যয়ও বেশি হয়নি। এ বছর ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্য কেউ ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধআলিম পরীক্ষা ১৭ আগস্ট শুরু