ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে গরু আসতে শুরু করেছে। তিনটি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি তিনটি অস্থায়ী হাট বসানো হচ্ছে। এর বাইরে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন খামারে গরু ছাগলের মজুদ গড়ে উঠতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামে এবার ৮ লাখের মতো গরু কোরবানি দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে গরু আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের নানা অঞ্চলের পাশাপাশি ভারত, নেপাল এবং মিয়ানমারের কিছু গরুও ঠাঁই পেয়েছে কয়েকটি খামারে। তবে দেশীয় গরু দিয়েই চট্টগ্রামের চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট খামারিরা বলেছেন, বাইরের গরুর সংখ্যা খুবই কম। খামারের সৌন্দর্যের জন্য দুয়েকটি করে বাইরের গরু রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামের স্থায়ী তিনটি বাজার রয়েছে। সাগরিকা গরু বাজার, বিবির হাট গরু বাজার এবং পোস্তার পাড় ছাগলের বাজারের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন এবার কর্ণফুলী পশু বাজার, সল্টখোলা রেলক্রসিং গরু বাজার এবং পতেঙ্গার বাটার ফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠে অস্থায়ী গরু-ছাগলের বাজার বসানো হচ্ছে।
চট্টগ্রামে এখনো গরুর বাজার জমে উঠেনি। তবে কিছু কিছু ক্রেতা বাজারে আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। তারা বলেন, বাজারে প্রচুর গরু ছাগল আসছে। প্রতিদিনই গরু ছাগলের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন মানুষও আসছে। তবে বিক্রি একেবারে নেই বললেই চলে। লোকজন শুধু দেখছেন, দরদাম করছেন। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে বিক্রি জমে উঠবে বলেও জানান তারা।
মোহাম্মদ রাজ্জাক নামের কুষ্টিয়া থেকে আসা একজন গরু ব্যবসায়ী গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, প্রচুর মানুষ গরু ছাগল দেখতে আসছেন। দরদামও করছেন। কিন্তু কিনছেন না। অপর একজন ব্যবসায়ী বলেন, কোরবানির চাঁদ দেখা গেলে গরু-ছাগল কেনার একটি নিয়ম রয়েছে। তাই কোরবানির চাঁদ দেখা পর্যন্ত ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। বৃহস্পতিবারে চাঁদ দেখা গেলে শুক্রবার থেকে পুরোদমে বাজার জমে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।