আমাদের দেশে বাচ্চাদের বিশেষ করে তিন থেকে চার বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাচ্চাদের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে স্মার্ট ফোনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ভাত খাবে বাচ্চাটি! সেখানে বাচ্চাটির সামনে স্মার্ট ফোন না দিলে। সে যেনো ভাত খাবেই না। এছাড়াও বাচ্চাটি কান্না থামাতে গিয়েও স্মার্ট ফোনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এইভাবে আমাদের দেশের কোমলমতি বাচ্চাদের স্মার্ট ফোনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলছে বাচ্চাদের মায়েরা। কিন্তু স্মার্ট ফোন বাচ্চাদের মানসিক বৃদ্ধিতে কতটুকু বাধা হয়ে দাঁড়াছে? বাচ্চাদের স্বাভাবিক চিন্তা–চেতনাকে ব্যাহত করে দিচ্ছে না তো? বিজ্ঞানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের রেটিনার সমস্যা হয়। মোবাইলে স্কীনে থাকা রোগজীবাণু সহজেই বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর তাতে কমিয়ে দেয় বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। তাছাড়া মোবাইল আসক্তির ফলে বাচ্চাদের শরীরে দেখা দেয়, বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা থেকে শুরু করে মাথাব্যথা, হাত–পায়ে ব্যথা, অনিয়মিত খাবার, এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপসহ আরও বিভিন্ন রোগে বাসা বাঁধে শরীরে। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির কারণে বাচ্চাদের ঘনঘন মেজাজের পরিবর্তন হয়।
আমাদের উচিত আমাদের বাচ্চাদের স্মার্ট ফোনের দিকে অভ্যাস না করে তাদেরকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো। যাতে তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। আসুন আমাদের বাচ্চাদের মোবাইলের দিক থেকে অভ্যাস পরিবর্তন করি। বাচ্চাদের শারীরিক ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করি।