বাঙালি জীবনে বসন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত

প্রমার উৎসবে দৈনিক আজাদী সম্পাদক

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, আমরা আজকে বসন্ত দিবস পালনের জন্য এসেছি। এই বসন্ত উৎসব বাঙালির জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা বাঙালিরা বারো মাসে তেরটা পার্বণ করে থাকি। বিশ্বের কোথাও তা নেই। আপনারা দেখবেন, আমাদের এই যে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরত, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এই যে ছয় ঋতু বিশ্বের কোথাও এই ছয় ঋতু নেই। হয় শীত না হয় গরম, কিন্তু আমরা ভাগ্যবান আমরা ছয়টা ঋতু ছয়ভাবে দেখি, অনুভব করি এবং সেইভাবে আমরা পালন করি। আমি আশা করি আমাদের জীবন এভাবে কাটিয়ে দিতে পারবো।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত ‘প্রমা বসন্ত উৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার এবার আমাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছেন। এজন্য আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। এছাড়া আমি চট্টগ্রামবাসীর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই পুরস্কার চট্টগ্রামবাসীর কাছে উৎসর্গ করে দিয়েছি। এই চট্টগ্রাম আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার যা কিছু, সব এই চট্টগ্রাম ও আজাদীকে ঘিরে। আজাদী না থাকলে আমি এখানে এসে দাঁড়াতে পারতাম না। রবীন্দ্রনাথের একটা ছোট কবিতা আছে, সেটি হলো-সূর্য যখন অস্ত যায়, তখন সে বলে আমি তো অস্ত যাচ্ছি আমার কাজটা কে করবে, তখন ক্ষুদ্র প্রদীপ বলে-আমার যতটুকু সাধ্য তাহা করিব আমি। আমার আজাদী ছোট একটি কাগজ। আমরা চেষ্টা করেছি চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে চলার। চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের কথা বলার। চট্টগ্রামের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরার। সমস্যা ও সংকটকে চিহ্নিত করে এর সমাধানের চেষ্টা করার।
অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের বদ্ধ রুমে বসন্ত উৎসব করতে হচ্ছে। এটি কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত নয়। এই চট্টগ্রামে অবৈজ্ঞানিক আরো অনেক কিছুই হচ্ছে। এই সিআরবিকে রক্ষার জন্য আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। চট্টগ্রামে নবনিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বসন্ত উৎসবে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার ভ্রাতৃত্বসুলভ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্ক আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই।
প্রমার সভাপতি রাশেদ হাসানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল ও কঙ্কন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, অধ্যাপক হোসাইন কবির, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে একক ও দলীয় নৃত্য, গান, কবিতা পরিবেশিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসপাতাল ও ভবন নির্মাণে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধকথকের ‘অস্পৃশ্য’