রাউজানের নোয়াপাড়ায় ঋণদাতা ইউনুছের বসতঘর থেকে ঋণগ্রহীতা কাজী দিদারুল আলমের লাশ উদ্ধার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক পলাতক আসামি ইদ্রিস মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭।
সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে আসামি ইদ্রিস মিয়াকে বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর আসামিকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে গতকাল। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামীপাড়া গ্রামের মৃত সায়ের আহমদের ছেলে মুহাম্মদ ইউনুছ (৫০), খলিল দফাদারের বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মুহাম্মদ, চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাও এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ আলমগীর (৫০) ও ফেরদৌসসহ অজ্ঞাত আরও সাত আটজন। আসামিরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামীপাড়ার প্রবাস ফেরত কাজী দিদারুল আলম (৫৬) গ্রামের সুদের কারবারি ইউনুছ ও ইদ্রিস মিয়ার কাছ থেকে সুদসহ টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে ৭–৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় কিস্তিতে কিছু টাকা তিনি পরিশোধ করলেও ব্যবসায় লোকসানের কারণে বাকি টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই নিয়ে দিদারুল আলম ঋণদাতাদের কাছ থেকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। পরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়ে স্বপরিবারে বাড়ি ছাড়েন। বিগত প্রায় দুবছর পালাতক থাকার পর গত ১২ মে ঋণদাতা ইউনুছ ও ইদ্রিস মিয়া গং অজ্ঞাত স্থান থেকে ঋণগ্রহীতা দিদারকে ধরে এনে ইউনুছ মিয়ার ঘরে আটকে রাখে। গত ১৬ মে ইউনুছ মিয়ার ঘর থেকে দিদারুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইউনুছের পরিবার এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইলেও পরদিন নিহতের ছেলে কাজী মিনারুল আলম তার বাবাকে আটকে রেখে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন এ প্রসঙ্গে বলেন, আটক আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।