নগরের বাকলিয়ায় ব্যানার টানানো ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ছাত্রদল কর্মী মো. সাজ্জাদ (২২) নিহতের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাকলিয়া থানায় মামলা (নম্বর–৩০) দায়ের করেন। ধৃতদের মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে নগর ও আশপাশের এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতরা হচ্ছেন– সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), মো. সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), জিহান (২২), মো. তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), মো. আরাফাত (২২), মো. ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল। এর মধ্যে ওসমান ও রাসেলকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে ধৃতদের বাইরে এ ঘটনায় দায়ে মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন– মো. বোরহান উদ্দীন (২৯), মো. নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৩৮), বাদশা প্রকাশ ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ হিরণ (২৫), মো. দিদার (৪৫), মো. রিয়াজ করিম (৩৩), বোরহান প্রকাশ ছোট বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০), মো. নাঈম উদ্দিন (২৪)।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান শুরু করে পুলিশ। শহরের বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকা এবং পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক টিম একযোগে অভিযান চালিয়ে রাতের মধ্যেই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে বাকলিয়া এঙেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) এমদাদুল হক বাদশার অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদ মারা যায়।
সাজ্জাদের বাবার দাবি, তার ছেলে ছাত্রদল করতো। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আওয়ামী লীগের কয়েকটি কর্মসূচির ছবিতে সাজ্জাদকে দেখা গেছে।












