বাউল সম্রাটকে হারানোর ১৫ বছর

| শুক্রবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা যিনি। ভাটি বাংলার প্রাণপুরুষ বাউল গানের অনন্য এক কিংবদন্তি। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের প্রেমভালোবাসা, কুসংস্কার, সামপ্রদায়িকতার আর অন্যায়অবিচার ও শোষণনিপীড়নের বিরুদ্ধে তার গান ছিল বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল বাউলসঙ্গীতের পথিকৃতের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনে অগণিত ভক্তকুলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। খবর বাংলানিউজের।

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম ইব্রাহীম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। বাউল সম্রাটের প্রেরণা তার স্ত্রী, যাকে তিনি আদর করে সরলা নামে ডাকতেন।

তিনি গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহএর দর্শন থেকে। তিনি বাউলগানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে।

শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন শাহ আবদুল করিম। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। এ পর্যন্ত বাউল শাহ আবদুল করিমের লেখা গানের ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস)-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।

২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো শাহ আবদুল করিমের জীবদ্দশায় তার জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ‘শাহ আবদুল করিম সংবর্ধনগ্রন্থ’ নামের বইটি সম্পাদনা করেন লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ। পরে শিল্পীর চাওয়া অনুযায়ী ২০০৯ সালের প্রথম দিকে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বাউল আব্দুল করিমের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘অ্যাপিরাস’ ভ্রাতৃদ্বয়ের ‘যাইও না’, কণ্ঠে নিলয়
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ২৮ রানে হারালো অস্ট্রেলিয়া