সবুজ থেকে হলুদ হয়ে ওঠা পাতা
দৃশ্যান্তরেু অমোঘ খয়েরি।
দৃশ্যেরা আড়ালে যায়!
গভীরে তবুও পেখম তোলে ময়ূর
ফুল আর প্রজাপতি আসে কাছাকাছি!
বাঘের পাড়া, দোনালা বন্দুক ভুলে
ছূটে যায় মাতাল হরিণ
চাঁদ–হরিণীর সংগীতবাসরে!
এ–সকল দৃশ্যের ভেতর দিয়ে ঢুকে যাওয়া
কবি ভেড়েন লাবণ্য বন্দরে!
ডিমের ঝোল, বাজারের ব্যাগ
অস্বচ্ছল সবুজাভ তীর্থ
কোটি বছরের পুরনো পৃথিবীশ্মশান
জীবনের ইন্দ্রজাল ভেদ করে
ডাব–হাতে অলস ট্রামের নিচে
ফেলে দেয়, আর তার বিচ্ছিন্ন পায়ের দিকে
ঠেলে দেয় নাগরিক মাছির উল্লাস ।
দৃশ্যেরা আড়ালে যায়!
নিজস্ব ব্যাকরণ নিয়ে পথচলা জলেরা ফিরে
বাষ্প–মেঘ–নদী–সমুদ্র হয়ে চক্রাকারে–
মাঝখানে শুধু তুমুল বিচ্ছেদের বুদবুদ
প্রিয়া–দয়িতার রূপালি কান্না ভাসে বাংলার ত্রস্ত নীলিমায়।
 
        
