দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছেন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ সম্মেলন। যে সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বনেতারা এখন বালিতে জড়ো হয়েছেন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে বাইডেন এবং শিও ইন্দোনেশিয়া পৌঁছেছেন। সেখানেই সোমবার দুই নেতা সাক্ষাৎ ও করমর্দন করেন। বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শি’র সঙ্গে এটাই তার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। যদিও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন শপথ গ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে পাঁচবার ফোনে বা ভিডিওতে কথা হয়েছে। খবর বিডিনিউরেজ।
তাদের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল যখন বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সোমবার বালির নুসা দুয়া বেতে অবস্থিত বিলাশবহুল হোটেল মুলিয়ার বলরুমে সারি করে রাখা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার সামনে এই দুই নেতা হাসিমুখে করমর্দন করেন। দুইজনই এই সময়ে দুজনের প্রতি খুবই আন্তরিক আচরণ করেন। শি’র পিঠে হাত রেখে বাইডেন বলেন, আপনার সাক্ষাৎ পাওয়া সত্যিই দারুণ।
পরে সাংবাদিকদের সামনে বক্তৃতা দেন বাইডেন। সেখানে তিনি চীনের সঙ্গে ব্যক্তিগত এবং সরকারি উভয় পর্যায়ে যোগাযোগের রাস্তা সবসময় খোলা রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, আমার মতে, দুই দেশের নেতা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া উচিত। এটি দেখাতে যে, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে পার্থক্যগুলো মানিয়ে নিতে পারে…প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে পারে…যা সংঘাতে পরিণত হতে পারে এবং যেসব জরুরি বৈশ্বিক বিষয়ে আমাদের যৌথ সহযোগিতা প্রয়োজন সেসব বিষয়ে একজোট হয়ে কাজ করার পথ খুঁজে বের করতে।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে আরও বলেন, বিশ্ব আশা করছে তারা দুই দেশ সমস্যার সমাধান করবে। জবাবে শি বলেন, বিশ্ব যা প্রত্যাশা করে তাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তেমনটা নয়। তাই আমাদের চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করতে হবে এবং সম্পর্ককে উন্নত করতে হবে। বিশ্ব প্রত্যাশা করে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সঠিকভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে।