বাইডেন ও কমলাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

শেখ হাসিনার অভিনন্দন

| সোমবার , ৯ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জো বাইডেনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাইডেনের মেয়াদে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলেও গতকাল রোববার দেশটির নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক শুভেচ্ছাবার্তায় আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ নিজস্ব প্রচেষ্টায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় এক অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা সচক্ষে দেখার জন্য বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান শেখ হাসিনা। তিনি দেশটির জনগণের শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য, সুখী এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন। গত ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে চার দিন ধরে গণনার পর পেনসিলভেনিয়ায় রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে বাইডেন জয়ী হওয়ায় রাজ্যের ২০টি ইলেকটোরাল ভোট চলে আসে তার পক্ষে। আর তাতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল ভোট হয়ে যায় বাইডেনের। সব মিলিয়ে ট্রাম্পের ২১৪ ইলেকটোরাল ভোটের বিপরীতে বাইডেনের ভোট দাঁড়ায় ২৭৯টি। বাইডেনের রানিং মেট কমলা হ্যারিস প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হতে সামপ্রতিক নির্বাচনে আপনার বিজয়ে আমি এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত। চার দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির জনগণের কল্যাণে আপনাদের অসাধারণ নেতৃত্ব যে নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছে, আপনার দুর্দান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে জনগণের সেই বিশ্বাস এবং আস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমি মনে করি। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায়, সমৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিববর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব।
বার্তায় শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার ও অটুট বন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আপনি আপনার দেশের শীর্ষ পদে থাকার সময়ে এই সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া অভিন্ন স্বার্থের পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড, রোহিঙ্গাদের মতো জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত করার বিরুদ্ধে এবং নিরাপদ ও উন্নত বিশ্ব গড়তে আপনার সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ফি নেওয়া যাবে না
পরবর্তী নিবন্ধউপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলার মতবিনিময়